শেখ হাসিনা কি দেশে ফিরছেন? ফিরলেও কবে ফিরবেন? প্রস্তুতি কি শুরু হয়ে গিয়েছে? এই সমস্ত প্রশ্নগুলি যেমন উঠছে, ঠিক তেমনই তার ফেরা বা না ফেরার সম্ভবনা তুলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে না ফেরা বা ফেরার বিষয়ে কি কি তত্ত্ব খাড়া করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা…. চলুন বোঝার চেষ্টা করি।
শেখ হাসিনা, তিনি শুধু বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাই নয়, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা। যিনি বাংলদেশে এনেছিলেন স্বাধীনতা। ভয়ংকর হল, যখন শেখ হাসিনার পিতা অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্বকে অস্বীকার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘোবের সঞ্চার ঘটাতে সাহায্য করলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের পিছনে থাকা কষ্টের পন্থী মৌলবাদীরা। যখন বৈষম্য বিরতির ছাত্র আন্দোলন সফল হলো এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলো তার কিছুদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেল, এই আন্দোলন ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। যেমন ছিল ঠিক একইভাবে পাকিস্তানী শহর কল কাঠি নেড়েছিল। না হলে এই বেরাজ আন্দোলনের পথ যোগান হলো কীভাবে? উঠেছিল প্রশ্ন।
এখন আসি শেখ হাসিনার দেশে না ফেরার তত্ত্ব খাড়া করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এর আগেও হাসিনা ফেরার কথা জানিয়েছেন। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি মাস। এছাড়াও হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, বিপুল মানুষের সমর্থনে। অর্থাৎ জনরোষে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। এরপর তিনি কিভাবে ফিরবেন দেশে? এর পাশাপাশি অনেকে বলছেন, হাসিনা দেশে ফিরলে আবারও দেশ উত্তপ্ত হবে। সেটা জানেন তিনি। সেই কারণেই দেশে ফেরার কেবল রব তৈরি করছেন তিনি। আদতে শেখ হাসিনা এখন দেশে ফিরতে পারবেন না।
অন্যদিকে আর একদল বলছেন, শেখ হাসিনা ফিরবেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ভার্চুয়াল বৈঠকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন দেশে ফেরার কথা। এছাড়াও আমেরিকা এবং ভারতের সমর্থন রয়েছে তার দিকেই। কাজেই এরকম দুটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হাসিনার পাশে থাকতে কিসের ভয়। তিনি ফিরছেন যত দ্রুত সম্ভব।
মার্চেই মুজিব কন্যা ফিরতে পারেন বলে চাউর হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। তবে তত্ত্ব-পাল্টা তত্ত্বের মাঝে আদেও কবে ফেরেন শেখ হাসিনা, সেটাও দেখার।
Discussion about this post