বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৯ নং শ্যামসুন্দরপুর বুথ আবারে ভুতুড়ে ভোটারের হদিস। ভোটার লিস্টে এপিক নম্বর নেই, নামও নেই, আছে ছবিও এমন মোট ছয় জনকে চেনেই না এলাকার মানুষ। শুরু শাসক বিরোধী তরজা।
বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৯ নং শ্যামসুন্দরপুর বুথ। এই বুথে রয়েছে মোট ১১২১ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ছয় জন ভোটার ভুতুড়ে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্লক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির উপস্থিতিতে তৃণমূল নেতৃত্বরা ভোটার লিস্ট নিয়ে শ্যামসুন্দরপুর বুথে ভোটার লিস্ট যাচাই করতে গেলে তখন তাদের নজরে আসে বিষয়টি। দেখা যায় ভোটার লিস্টে এপিক নম্বর সহ নাম নেই এবং এমনকি বাবার নামও উল্লেখ নেই, অথচ ছবি রয়েছে। আবার দীপান্বিতা ভট্টাচার্য ও জুহি ভট্টাচার্য দুই মহিলার স্বামী একই শাশ্বত ভট্টাচার্য অথচ ওই বুথে কোন ভট্টাচার্য পদবী যুক্ত কোন মানুষ নেই দাবি তৃণমূলের। আবারো পূজা ভুঁই ও অষ্টমী মাঝি সহ একাধিক জনের লিস্টে নাম রয়েছে অথচ তাদেরকেও এলাকার কেউই চেনেই না। এদের কোন অস্তিত্বই নেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
স্থানীয় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির দাবী এটি বিজেপির চক্রান্ত, তাদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য এই ভুয়ো ভোটাদের লিষ্টে রেখেছে। এভাবেই তারা দিল্লির মসনদ দখল করেছে। বিষয়টি নিয়ে তারা সচেতন রয়েছে। তারা চাইছেন ভোটের আগে স্বচ্ছ তালিকা হলে তৃণমূল আরো বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি অবশ্য সমগ্র ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকেই দোষারোপ করছে, বিজেপির দাবি ভোটার লিস্ট তৈরি করার সমস্ত সিস্টেম রাজ্যের সরকার দ্বারা এবং রাজ্য সরকারের কর্মীদের দ্বারা হয়। এভাবেই তৃণমূল ভোটব্যাঙ্ক বাড়িয়ে এসেছে। আগামী বিধানসভায় আর হবে না, স্বচ্ছ ভোটার লিস্ট তৈরী করে ভোট হবে বলে দাবী করেন।
Discussion about this post