বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের ইতিবাচক দিকগুলি নিয়ে বর্তমান সময়ে নানাবিধ আলোচনা চলছে। কারণ সদ্য চীন সফর সেরে দেশে ফিরেছেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস। তাই এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে,সেই সফর থেকে ঠিক কি কি সহায়তা নিয়ে দেশে ফিরছেন নোবেলজয়ী।
জানা যাচ্ছে, জ্বালানি পরিবহনে বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরতা কমাতে দুটি মাদার ট্যাংকার কিনতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়লা, সিমেন্ট ক্লিংকার, গমের মত পণ্য দেশে আনতে দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার কেনা হবে।
আর চারটি জাহাজই কেনা হবে চীন থেকে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জন্য জাহাজগুলো কিনতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চারটি জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হবে। তবে সাম্প্রতিককালে এই খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করার পর বিভিন্ন তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে জানা যাচ্ছে, জাহাজ কিনতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনার শাসনকালে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকার এর সময়ে।
আবার, বাংলাদেশ চীনের বাজার ধরতে না পারলেও দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ছে। সেটি হচ্ছে মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ব্যবসা বৃদ্ধির কারণে। এতে গত ১০ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেড়ে তিন গুণ ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাণিজ্যের ব্যবধান। কারণ, চীন থেকে আমদানি বাড়লেও সেভাবে রপ্তানি বাড়ছে না দেশটিতে। দেশের মোট আমদানির ২৫ শতাংশই আসে চীন থেকে। যদিও মোট রপ্তানির মাত্র ১ দশমিক ২২ শতাংশ যায় চীনে। অর্থাৎ এই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
তবে কোভিড সময় একটু দুর্বল হয়ে এলে চীন থেকে ব্যাপকভাবে বাড়ে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি। ২০২১-২২ অর্থবছরে চীন থেকে আমদানি হয় ২ হাজার ৪২৫ কোটি ডলারের পণ্য, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। বিপরীতে ৬৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় ওই অর্থবছরে।
Discussion about this post