বাংলাদেশ শীঘ্রই সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণ করে ক্ষমতা গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে সেনাবাহিনীর। পাশাপাশি,শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরার বার্তা দিচ্ছেন সাধারণ নাগরিককে। সেদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী একটি জরুরি বৈঠকও করেছে, যা আগামী দিনে সম্ভাব্য বড় ধরনের ঘটনাবলীর ইঙ্গিত দেয়।
বৈঠকে পাঁচজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, আটজন মেজর জেনারেল , স্বাধীন ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার এবং সেনা সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা সহ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, এই বৈঠকে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সেনাবাহিনী রাষ্ট্রপতির উপর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে অথবা ইউনূসের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটাতে চাপ দিতে পারে। সেনাবাহিনী তাদের তত্ত্বাবধানে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের বিকল্পও খতিয়ে দেখছে।
বিগত কয়েক মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ছাত্রনেতারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, যা সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অনেক অংশকে বিচলিত করেছে এবং এই বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা তৈরি করতে সেনাবাহিনীকে প্ররোচিত করেছে।
এই পরিস্থিতির মাঝে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন এই বার্তা দিয়ে আসছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে । দেশে ফিরেই মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার করবেন। জোর গলাতেই এই কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তাঁর দেশের ফেরার জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন হাসিনা।
তাঁর সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে কথা বলার সময়ে তাঁরা কী রকম দুর্দশার মধ্যে আছেন সেই কথা জানান নিহত চারজন পুলিশকর্মীর স্ত্রী। তখনই হাসিনা বলেন, ‘ অপেক্ষা করুন, আমি দেশে ফিরব। সবাই বিচার পাবেন।’
তাঁকেও একাধিকবার হত্যা করার চক্রান্ত করা হয়েছিল বলেও জানান হাসিনা। গত বছর ৫ অগস্টেও তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন মুজিব কন্যা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে একাধিক দল। সেই সঙ্গে বিচারের জন্য হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে সরব হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং বিএনপি-সহ বিভিন্ন দলের নেতারা। সেই সময়েই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাসিনা।
Discussion about this post