মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি খানিকটা আয়ত্তে এসেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামার এক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি প্রায় শান্তর দিকে। পুলিস কর্তা জাভেদ শামীম বলছেন, সমস্ত ঝামেলা মিটে গিয়েছে। যা কিছু রটানো হচ্ছে, সব বাইরের রাজ্য থেকে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গকে ক্লিন চিট দিয়ে পুরোপুরি দোষ চাপিয়ে দিলেন বাইরের রাজ্যতে। বাইরের রাজ্যে বসে নাকি গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
বিএসএফ এখনও পর্যন্ত যে তথ্য দিয়েছে, তাতে বলা হচ্ছে যেভাবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নির্বাচিত সরকারকে হটানো হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ থেকেই নাকি লোক এসে এই ঘটনায় বাংলাদেশে এসে ইন্ধন জুগিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সমর্থন এসেছে এবং সাহায্য এসেছে। এমনই বিএসএফের রিপোর্ট জমা পড়েছে কেন্দ্রের হাতে। এখন পুলিস কর্তা জাভেদ শামীম সত্যি বলছেন নাকি বিএসএফের রিপোর্ট সত্যি, তাই নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর, সামসেরগঞ্জে প্রবল উত্তেজনা। অনেক মানুষ মালদা পালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলছেন, কেউ তো পালিয়ে গেলেও পাশের জেলায় যাচ্ছেন। সমস্যা কোথায়। রাজ্য সুরক্ষিত আছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পৌঁছে গিয়েছিলেন মালদায়। যারা উদ্বাস্তু হয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়ে এসেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। খানিকটা আয়ত্তে এসেছে পরিস্থিতি। এখন দেখার, প্রাণ ভয়ে ভিন রাজ্যে পালিয়ে যাওয়া মানুষেরা কবে ফেরেন নিজের ঘরে!
Discussion about this post