ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় যেভাবে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এপার বাংলায়, বাংলাদেশে হয়ে চলা মৌলবাদীদের কার্যকলাপের সঙ্গে মিল পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে কি এর মূলে ইউনূসের দেশের মৌলবাদীরা? ওয়াকফ ইস্যুতে জ্বলছে বাংলার একটা অংশ। মুর্শিদাবাদের একটি অংশে বোমাবাজি, ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ দেখা গিয়েছে। এমনকি সরকারি, বেসরকারি বাসে আগুন। বাদ যায়নি পুলিসের গাড়ি, এম্বুলেন্সও। আন্দোলনের নামে চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। সংখ্যালঘুদের এই ইন্ধন কারা যোগাচ্ছে? সীমান্তবর্তী এলাকা মুর্শিদাবাদ উঠে এসেছে বারবার খবরের শিরোনামে। কখনও বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার, আবার কখনও ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে চরম আন্দোলন। এমনকি বাংলাদেশী গ্রেফতার হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে। সবসময়ই বাংলাদেশী ছায়া চোখে পড়ছে মুর্শিদাবাদে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মৌলবাদ। মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্ত চোখে পরার মতো। আর সেটা হয়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের আমলে। কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা যেভাবে সংগঠনগুলিকে মজবুত করছে, তাতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে সেখানকার সংখ্যালঘুদের এবং বরাবর প্রতিবাদ করেছে ভারত। তবে কি বাংলাদেশের মৌলবাদীদের প্রভাব সরাসরি পড়ে গেছে এপার বাংলায়? আর তার ফলস্বরূপ মুর্শিদাবাদের বর্তমান পরিস্থিতি!
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাস্তায় দেখা গিয়েছে মৌলবাদীদের মিছিল। প্রবল দাপটের সঙ্গে একজোট হয়েছে। নিজেদের দেশে শান্তির বার্তা দেখাতে না পেরে প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদ শুধু রাস্তায় মিছিল করে থেমে থাকেনি। বাংলাদেশের খুলনা, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লায় বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার আউটলেটগুলিত ভাঙচুর করে। জিনিসপত্র নষ্ট করে। এমনকি লুটপাট চালায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বাংলাদেশের এই বিশৃঙ্খলার ছবির সঙ্গে এপার বাংলার মুর্শিদাবাদের অশান্তির মূল পাচ্ছেন। খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যায়, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে বহুজাতিক সংস্থার আউটলেটে ভাঙচুর, হামলা চলে। এই ঘটনায় বিএসএফের গোয়েন্দা শাখার রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মুর্শিদাবাদ এবং মালদার ওপারে রয়েছে নবাবগঞ্জ এবং চাপায়। যে এলাকা নাকি সবথেকে বেশি উত্তেজিত এলাকা বলে জানা যাচ্ছে।সেখানকার মৌলবাদীদের প্রভাব এপারে। তাদের উসকান্তিতে পা দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হয় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর এবং ধূলিয়ানে। এমনকি বাংলাদেশের যে সমস্ত অংশে লুটপাট চলেছে, একই কায়দায় এখানেও হয়েছে। এমনকি চাঞ্চল্যকর কিছু রিপোর্ট উঠে আসছে। যে সমস্ত অরক্ষিত সীমান্ত এলাকা রয়েছে, সেখানে এখানকার কিছু লোকেদের সঙ্গে বৈঠক করছে মৌলবাদীরা। এবং তারপর এই অশান্তির সৃষ্টি। যদিও বিএসএফ আসরে নামার পর খানিকটা শান্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদ। তবে প্রাণ ভয়ে যারা মালদা বা অন্যান্য জেলায় পালিয়ে গিয়েছেন, তারা কবে সুরক্ষিতভাবে ঘিরে ফেরেন, সেটার দেখার। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্ত, যেটা প্রথম থেকেই ভারত ভালো চোখে নেয়নি, আর সেটার ফলস্বরপ এই অশান্তি। এখন দেখার শেষমেশ কি একশন নেয় এপারের প্রশাসন।
Discussion about this post