আমেরিকার ইশারায় বড় অ্যাকশনে ভারতের পড়শীদেশ বাংলাদেশ। যে আমেরিকার মদতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদল ঘটলো সেই আমেরিকার ইশারাতেই এবার ভারতের মিত্র দেশ মিয়ানমারের অপারেশনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ সেনার।
মিলিটারি অপারেশন! নতুন অপারেশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জানা যাচ্ছে আমেরিকা বাংলাদেশ সেনার মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে লড়াই বৃদ্ধি করতে চাইছে। মিয়ানমারের জুনটা সরকারের অবসানের লক্ষ্যেই এই নয়া অ্যাকশনের পরিকল্পনা আমেরিকার। বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয় বাংলাদেশের অন্তরবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার। সেই বৈঠকে দুই দেশের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। মিয়ানমারে চীনের প্রভূক্তকে বিনাশ করতে এবং আমেরিকার নীতিকে স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশী সেনাবাহিনীর এই মহড়া শুরু হয়েছে।
জানা যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিনটি ডিভিশন এই অপারেশনের মোতায়েন থাকবে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১০ম, ১৭তম এবং ২৪তম ডিভিশন মোতায়েন করা হতে পারে, তবে এই ইউনিটগুলি কোনও সামরিক ভূমিকা পালন করবে না এবং রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী বাহিনীর জোটকে কেবল লজিস্টিক এবং সরবরাহ সহায়তা প্রদান করবে, নিরাপত্তা সূত্রগুলি একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইউএসএআইডির বাজেট কমে যাওয়ার আগেও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে জরুরি সহায়তা পাঠানোর জন্য প্রস্তুত ছিল না। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তিমূলক নীতি গ্রহণ করেছে।
ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন ক্রমেই কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, পাশাপাশি বিদ্রোহীদের ‘অপ্রাণঘাতী’ সামরিক সহায়তা প্রদান করেন, যারা সামরিক শাসন উৎখাত করতে চায়। ট্রাম্প প্রশাসন এখনো সেই নীতিই অনুসরণ করছে।
Discussion about this post