বাংলাদেশকে চাপ দিতে শুরু করেছে ভারত। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ভারতের। ভারতের বন্দর ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের মত দেশে পন্য রফতানি করতে পারবে না বাংলাদেশ। এই নিয়ে ৮ই এপ্রিল কেন্দ্র একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। 2020 সালে করোনা পরিস্থিতি গোটা বিশ্বজুড়ে। ভারত বাংলাদেশকে বন্দর এবং সড়কপথ ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। পণ্য রফতানি করার জন্য এতদিন ভারত বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিত। তৃতীয় যে কোনও দেশে পণ্য রফতানি করতে বাংলাদেশ এই সুবিধা পেত। কিন্তু এইবার সেই সুবিধা তুলে নিল ভারত। চরম সমস্যায় বাংলাদেশের বর্তমান সরকার।
কিন্তু হঠাৎ ভারতের এই সিদ্ধান্ত কেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পিছনে রয়েছে মোহম্মদ ইউনূসের চীন সফর। এর পাশাপাশি বেজিং বৈঠক। মার্চে চার দিনের জন্য চীন সফর করেছিলেন মোহাম্মদ ইউনূস। সফরে তিনি একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সেটা হল, ভারতের সাতটি রাজ্য লান্ডলক। এবং সমুদ্রের অভিভাবক বাংলাদেশ। যদিও ইউনূসের এই মন্তব্যের করা জবাব দিয়েছে ভারত। বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলের 6500 কিলোমিটার সীমানা ভারতের আওতাধীন। এই কথা মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এমনকি পরে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয় মোহাম্মাদ ইউনুসের। বৈঠক শেষে ভারতের তরফের যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় সেখানে উল্লেখ ছিল এই বিষয় নিয়েও। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে যে ভারত সিরিয়াসলি নিয়েছে, সেটা পরিষ্কার। এমনকি ভারতের এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের 47 বিলিয়নের বাণিজ্য ধাক্কা খাবে। বিশেষ করে নেপাল ও ভুটানে বস্ত্র বিপণনের জন্য খরচ বাড়বে বাংলাদেশের। এক্ষেত্রে ভারতের অনেক লাভ হবে। একাধিক ক্ষেত্রে ভারত আধিপত্য রাখতে পারবে। অর্থাৎ এই সিদ্ধান্তে চাপে পড়ল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার। সেটা আর বলার অপেক্ষায় রাখেনা।
Discussion about this post