ইউনূসকে আরও টাইট দিল ভারত। প্রথমে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল। তারপরে সমুদ্র মহড়ার প্রস্তুতি। তারপরে খবর, সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বন্ধের ঘোষণা আদানীর। সরকারিভাবে আদানী জানিয়ে দিল, বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না। বলাই যায়, মহা বিপদে ইউনূসের দেশ।
অনেকে বলছেন, শুধুমাত্র আকাশপথটি বাকি আছে। আর চারিদিক থেকে সমস্যায় বাংলাদেশ। এপ্রিল পড়তেই বাংলাদেশে তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। আর তার মধ্যেই বিদুৎ বন্ধের খবর উদ্বেগ বাড়িয়েছে বাংলাদেশকে। জানা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডে আদানীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২টি ইউনিট রয়েছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে দুটি ইউনিট আছে। প্রত্যেকটিতে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এর মধ্যে একটি ইউনিট থেকে নাকি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল ৮ ই এপ্রিল। এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে, শুক্রবার দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হল।
আসলে অনেক আগেই জানা গিয়েছিল, আগানের বিদ্যুৎ বিল মেটাতে পারিনি বাংলাদেশ। সেই কারণেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে পারে আদানী। এমনকি হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল আদানীর তরফে। শেষমেষ সেটাই ঘটলো। জানা গিয়েছে, এর আগে বাংলাদেশ বকেয়া মেটাতে পারিনি বলে আদানি বিদুৎ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ বকেয়া মেটাতে শুরু করলে একটি ইউনিটের বিদুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
এইপরিস্থিতিতে শনিবার ১টা পর্যন্ত ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে বলে খবর রয়েছে। শনিবার বাংলাদেশে ছুটির দিন। সেই কারণেই বিদ্যুতের চাহিদা খানিকটা কম। কিন্তু পরদিন অর্থাৎ রবিবার কাজের দিন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার মহা সমস্যায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। এখন গোটা বিশ্বে চলছে শুল্ক যুদ্ধের আবহ। বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পে অনেক অর্ডারই বাতিল হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করার ফলে সমস্যায় জেরবার দেশ। এইবার বিদ্যুৎ বন্ধের ফলে সমস্যা আরও বাড়লো।
Discussion about this post