ওয়াকফ ইস্যু নিয়ে এইবার আসরে নেমেছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। পাকিস্তানের তরফে একটি সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে ওয়াকফ বিল নিয়ে। বাংলাদেশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা ওয়াকফ বিল নিয়ে রাস্তায় নামছেন, আন্দোলন করছেন এবং সেখানকার আইন উপদেষ্টা ভারতের তীব্র সমালোচনা করছেন। একের পর এক স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ যদি ওয়াকফ বিল নিয়ে প্রবল সমালোচনা করে এবং ভারতের মানুষকে উস্কায় তবে ভারতের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। শুধু তাই নয়, সেই ক্ষোভ সাধারণ মানুষের থেকে মুছে ফেলাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তবে যেভাবে ওয়াকফ বিলকে আন্তর্জাতিক ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে, তারই পাল্টা ভারতের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এমনকি পাকিস্তান বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের একাধিক গণমাধ্যম ওয়াকফ বিল নিয়ে সমালোচনা করছে। সবমিলিয়ে ভারতে পাস হওয়া একটি বিল, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিভাবে বড় ইস্যু হতে চলেছে, সেটা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
পাকিস্তান একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে তারা বলছে, ভারত সরকার যে ওয়াকফ বিল নিয়ে এসেছে, সেখানে ধর্ম এবং অর্থনৈতিক অধিকারে ভারতীয় মুসলিমদের খণ্ডন করছেন। কিন্তু হঠাৎ পাকিস্তান কেন ভারতীয় মুসলিমদের এত চিন্তা হয়ে পড়ল, সেটাই ভাবাচ্ছে ভারতকে। কারণ এটি ভারতের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই আইনের বিরোধিতা করে ভারতের ভিতরে প্রতিবাদ হতে পারে, আন্দোলনও হতে পারে। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রর কোনও অধিকার নেই এই নিয়ে বিবৃতি জারি করা। এমনকি তারের হরি করা বিবৃতি আন্তর্জাতিক স্তরে বিভ্রান্ত তৈরি করছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ভারত সরকারকে নিয়ে সমালোচনা করতে শুরু করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওয়াকফ বিল মুসলিম বিরোধী একটি পদক্ষেপ। নতুন আইন পাস করে তারা মুসলিমদের ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনা বোর্ডের অমুসলিমদের রাখার এবং এসব সম্পত্তিতে সরকারের সরাসরি খবরদারের বিধান করেছে। এই আইন বলবৎ করে মুসলিমদের বহু মসজিদ ঐতিহাসিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এমনটাই আশঙ্কা করে বিবৃতি দেন তিনি।
তার বিবৃতিতে আরও যোগ করেন। তিনি লেখেন, ভারতে হিন্দু মন্দির পরিচালনা কমিটিতে অন্য ধর্মের মানুষেরা স্থান পান না। তাহলে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের রাখা হবে কেন? তিনি দেশে আরও লেখেন, এরাই আবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়ো অভিযোগ তুলে আসছে।
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে নাকি একটু আন্দোলন শুরু হবে 23 সে এপ্রিল থেকে। খিলাফত মজলিস নামে একটি সংগঠন এই কর্মসূচি করবে বলে স্থির করেছে।
যদিও ভারতের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিজের দেশের মুসলিমদের অবস্থান টা দেখুক। ভারত বলছে, এই আইন কখনোই সংবিধান বিরোধী নয়। কাজেই সমালোচনা করার আগে সবটা বিশ্লেষণ করে কমেন্ট করুক। এখন দেখার, শেষমেশ এই নিয়ে আর কোনও করা বিবৃতি জারি করে কিনা ভারত সরকার।
Discussion about this post