বর্তমানে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তেজনার সৃষ্টি করছে। বিম্সটেক শীর্ষ সম্মেলনে মোদী ইউনূসের বৈঠকের পর অনেকেই মনে করছিলেন দুই দেশের সম্পর্কে শীতলতা আসতে পারে। কিন্তু ঠিক এরপরই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করে তিনটি রুশ যুদ্ধজাহাজ। এই নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। মনে করা হচ্ছে এটি সাধারন কোন সফর নয়, হয়তো এই যুদ্ধজাহাজ প্রবেশের মাধ্যমে নতুন কোনও বড় অপারেশনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে কি আগেই ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে এই বিষযয়ে আলোচনা হয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।
রাশিয়া যখন নিজেদের প্রস্তুতি নিতে অন্তত তখন আমেরিকা যে চুপ করে বসে থাকবে না তা কারোরই অজানা নয়। সম্প্রতি আমেরিকা ও বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে মিয়ানমারের একটি অপারেশনের পরিকল্পনা করেছে। অর্থাৎ ভারত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার মিলে একটি হাই বাফার জোনে পরিণত হয়েছে। কারণ এই এরিয়াতে এখন একত্রে আটকে পড়েছে মহা শক্তিধর দেশ, আমেরিকার রাশিয়া চীন ও ভারত।
সম্প্রতি ঢাকার চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি রুশ যুদ্ধ জাহাজ প্রবেশের পরেই গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড এর দাবি উঠেছিল। আর সেখান থেকে প্রকাশ্যে এলো যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে বড়সড়ো কোন বদল ঘটতে চলেছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামান রাশিয়া সফর সেরে দেশে ফিরেছেন। হোম জানা গিয়েছিল এই সফর চলাকালীন তিনি রাশিয়ার বিভিন্ন সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন এদিকে দেশে তার অবর্তমানে সেনাবাহিনীর ৫ সেনা কর্তাকে গৃহবন্দী করার মত খবর উঠে এসেছিল। আর এরপরে রুশ যুদ্ধ জাহাজ গুলি বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর দেখা গেল সেগুলি অনেকটাই ভারতের সীমান্তের কাছে চলে গিয়েছে। জল্পনা তৈরি হয়েছে ভারত কি তবে এই খবর আগেই পেয়েছিলো। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে এই যুদ্ধজাহাজ সফরের পেছনে কি তবে সত্যিই কোন বড় মিশনের প্রস্তুতি চলছে?
এই রুশ যুদ্ধ জাহাজগুলি বাংলাদেশের ঢাকা বন্দরে প্রবেশ করতেই শুরু হয়েছিল জল্পনা কল্পনা। ১২ই এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোষ্টের মাধ্যমে জানানো হয়, সফরকালে সেনাপ্রধান রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন। রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান, ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এবং ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। অনেকেই মনে করছেন, সে দেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। আর তিনি দেশে ফিরতেই দেখা গেল চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে রাশিয়ান নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
অর্থাৎ সবগুলিকেই সেনাপ্রধানের নতুন পরিকল্পনা বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। এখন দেখার ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের পরিকল্পনায় কোন নতুন মিশন শুরু হয়।
Discussion about this post