বাংলাদেশ নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক হামলা শুরু করে দিয়েছে। পাকিস্তানের মতোই এবার বাংলাদেশও ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের পাসপোর্টে ইসরাইলের নাম উল্লেখ করে ইসরাইলকে অপমান করার ছক তৈরি করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার এবার তাদের দেশের পাসপোর্টে উল্লেখ করেছে “এই পাসপোর্টটি ইসরাইল ছাড়া বিশ্বের সমস্ত দেশের জন্য বৈধ ” যা নিয়ে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে জোর চর্চা।
রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে জনরোষের মধ্যে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্ট ও অভিবাসন বিভাগকে বিদেশ ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য সরকারী ভ্রমনের ক্ষেত্রে “এই পাসপোর্ট ইসরায়েল ব্যতীত বিশ্বের সকল দেশের জন্য বৈধ” বাক্যটি পুনর্বহাল করার জন্য একটি নির্দেশ জারি করেছে, অর্থাৎ বাংলাদেশ নাগরিকদের সেই রাষ্ট্রে ভ্রমণে বাধা দেওয়ার জন্য লেখাটি পুনরায় চালু করা হয়েছে।
এর আগে ১২ এপ্রিল ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির মঞ্চ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শর্ত পুনর্বহালের দাবি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সরকারের ‘সব ধরনের চুক্তি বাতিলের’ আহ্বান জানানো হয়।
তাদের ঘোষণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শর্ত পুনর্বহাল করতে হবে। একইসঙ্গে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থান আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের পাসপোর্টে আগে ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ অর্থাৎ যার বাংলা অর্থ, ‘এ পাসপোর্টটি ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের সকল দেশের জন্য বৈধ।’ এই লেখাটি মুদ্রিত ছিল।
কিন্তু ২০২১ সালের মে মাসে ‘আন্তর্জাতিক মান রক্ষার্থে’ বর্তমান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় “ইসরায়েল ছাড়া সকল দেশ” শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ তখন বলেছিল যে নথির আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য পাসপোর্ট থেকে এটি বাদ দেওয়া হয়েছিল।
Discussion about this post