আট মাস কেটে গিয়েছে। বাংলাদেশে চলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মোহাম্মদ ইউনূসের জামানা। এক সময় দেখা গিয়েছিল, বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল এই সরকারকে সমর্থন করে এসেছে। এমনকি সেই সমর্থন তারা প্রকাশ্যে ঘোষণাও করেছে। তেমনভাবে রাজনৈতিক দলগুলি সঙ্গে মতবিরোধ দেখা যায়নি অন্তবর্তীকালীন সরকারের। তবে নির্বাচনকে ঘিরে খানিকটা মনোমালিন্য দেখা গিয়েছে। এরমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা সরকারি বাসভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির একটি বৈঠক হয়। এইদিন সরকারি বাসভবন যমুনায় বৈঠকটির পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি খানিকটা অসন্তোষ প্রকাশ করে বুঝিয়ে দেন, এই বৈঠকে তারা সন্তুষ্ট নন। তারা পরবর্তীতে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেবেন যে কি করণীয়। ঠিক কি বলেছেন তিনি শুনুন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন বহু প্রতীক্ষিত মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকটি ব্যর্থ হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে বিএনপি ইউনূসের কাছে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ চেয়েছিল। কিন্তু ড. ইউনূস বরাবরের মতো নির্বাচন নিয়ে বলেছেন, এই বছরের শেষে কিংবা পরের বছরের জুনে মধ্যে। বিএনপির নেতারা বৈঠকে স্পষ্ট করে মোহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান তারা। আর এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন কোনও মতেই চাইছেন না প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ক্ষমতার অলিন্দে থেকে যেতে চান।
এর পিছনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা টানছেন ছাত্র নেতাদের প্রসঙ্গ। বেশ কিছুদিন আগেই ছাত্র নেতাদের একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠিত হয়েছে। এই রাজনৈতিক দলটি গঠন হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বিতর্কে চলে আসে। তবে সে যাই হোক, মোহাম্মদ ইউনুস চাইছেন, ছাত্র নেতাদের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে আরো শক্তিশালী হোক। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এই দলটির ওপর আস্থা রাখুক। পাশাপাশি তারা জোরদার করুক কর্মসূচি। সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে যতদিন সময় লাগব, যে করেই হোক নির্বাচন আটকে রাখবেন মোহাম্মদ ইউনুস। শুধু তাই নয়, ছাত্র নেতারা যে তাকে খুব শ্রদ্ধা করে সেটা তিনি খুব ভালো করে জানেন। কাজেই সেই রাজনৈতিক দল যদি ক্ষমতায় আসে নির্বাচনের মাধ্যমে, তবে প্রথমে ইউনুস কেই ক্ষমতায় বসাবেন। আর সেই কারণেই সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের পিছতে চাইছে তারা।
এখানে ওয়াকিবহল মহল বলছে, বিএনপির মত শক্তিশালী দলও মোঃ ইউনুসের সিদ্ধান্ত টলাতে পারছে না। তবে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। আর এতে সমস্যায় পড়তে পারেন ছাত্রনেতা থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং তার প্রধানও।
Discussion about this post