বাংলাদেশ শীঘ্রই সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করতে পারে , সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণ করে ক্ষমতা গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। এবং ভারতকে জব্দ করতে ইউনুস এবার নতুন ফাঁদ পেতেছেন। কিন্তু শেষমেষ নিজের তৈরি সেই ফাঁদে কি নিজেকেই পরতে হলো? বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভারত বাতিল করার এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ এমন সিদ্ধান্ত নিল। সুতা আমদানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিসর এখন কোন দিকে এগোচ্ছে সেটা নিয়ে চলছে। বিস্তার আলোচনা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, স্থানীয় উৎপাদনকারীরা আমদানিকৃত সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পরাজিত হচ্ছে। কারণ আমদানিকারকরা প্রায়ই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা চালানের তুলনায় স্থলবন্দর দিয়ে আনা চালানের মূল্য কম উল্লেখ করে। পাশাপাশি স্থানীয় বস্ত্র শিল্প মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুতা আমদানি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে, গত সপ্তাহে ভারত তাদের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য পরিবহন বিষয়ক ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে।
ভারতের সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাব হিসেবে বাংলাদেশ এবার এক কঠোর অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে সুতা, আলু, গুড়, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, ফলের জুস, রেডিও-টিভি, সাইকেল, মোটরযানের যন্ত্রাংশ এবং মার্বেল স্ল্যাব আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ । এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পে একটি বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, কারণ দেশের পোশাক শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সুতার প্রায় ৯০ শতাংশই ভারত থেকে আসে। ফলে নিজের অজান্তে নিজের বিপদে ডেকে আনলেন মোহাম্মদ ইউনুস।
পাশাপাশি তিনি শুধু দেশের অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেননি তিনি নিজের দেশের সামরিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করার চেষ্টায় উদ্যত। বর্তমানে বেশ কিছু দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে সেনাপ্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা দুটি দলে বিভক্ত। এদিকে সেনাপ্রধান ভারত ও রাশিয়ার সঙ্গে অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছে। রাশিয়া সফর সেরে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান আর সেনাপ্রধানের সফরকালে তার অবর্তমানে সেদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস যেমন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা রকম নেতিবাচক পরিকল্পনা করেছিলেন। এমনকি সেনা প্রধান দেশে ফেরার পরেও দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন চাপে চলতে চাইছে সে দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে। যখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বৈঠকে দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় সেখানে জল্পনা তৈরি হয়ে যায় তবে কি পাকিস্তানের মদতে আবারও বাংলাদেশের সামরিক অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ উঠে আসবে?
Discussion about this post