সত্যিই কি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসুস্থ? তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন? আসলে এটা গুজব খবর। বলছেন আন্তর্জাতিক গোয়েন্দারা। শেখ হাসিনা যেখানে আছেন বহাল তবিয়তে আছেন। খোশ মেজাজেই আছেন। শুধু তাই নয়, আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার অসুস্থতার খবর ভিত্তিহীন। যখন বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যে গুজব রটাচ্ছে, তখন ভারতের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে সত্যিটা ঠিক কি। অনেকে বলছেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের এত মাথা ব্যথা কেন? আসলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পিছনে দুই দেশের পুরনো সম্পর্ক। এছাড়াও আন্তর্জাতিক একটি বিষয়ও রয়েছে। এমনকি এই প্রশ্ন উঠে আসছে, সেটা হল শেখ হাসিনাকে কেন এত গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত?
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্থ, স্বাভাবিক রয়েছেন। তিনি নিয়মিত দলের কাজ করছেন। এক বিবৃতিতে জানিয়েছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। তাতে বলা হয়েছে, আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকলকে নিশ্চিত করতে চাই, দেশবাসীর আশীর্বাদে শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং তিনি নিয়মিতভাবে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
কিন্তু কেন এমন বিবৃতি দিল হাসিনার দল? আওয়ামী লিগ সূত্রে জানানো হয়েছে, বাংলাদেসে প্রচার চালানো হচ্ছে, শেখ হাসিনা গুরুতর অসুস্থ এবং তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া একটি খবর। এমনকি বলে দেওয়া হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে যাবেন।
এছাড়া বাংলাদেশ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ভারতের কাছে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কারণ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এমন একটি ভূখণ্ড, সেটা জিও পলিটিক্যালি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার জন্য জো বাইডেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপে একটি এয়ার বেস করতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন ডোনাল্ড লু’কে না করে দেওয়া হল তখন কায়দা করে মোহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের সিংহাসনে বসানো হল। এমন একটি ধারণা আছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। এদিকে ভারত দেখছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে যা ঘটছে, সেটা চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। এর আঁচ এদেশে পড়তে পারে। তবে সব থেকে বড় প্রশ্ন, শেখ হাসিনাকে কেন ভারত এত গুরুত্ব দিচ্ছে বা হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসাতে চাইছে সিংহাসনে? আসলে ভারত এটা খুব ভাল করে জানেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সুস্থ রাখতে গেলে হাসিনার বিকল্প নেই। আর সেই কারণেই শেখ হাসিনাকেই যেনতেন প্রকারে সিংহাসনে বসাতে চাইছে ভারত।
Discussion about this post