ধর্মনিরপেক্ষতা কী? তা বুঝিয়ে দিলেন এক মুসলমান মুফতি। পশ্চিমবঙ্গ ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন তিনি ধর্মনিরপেক্ষ একজন ব্যক্তি। রাজ্যে যখন ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে এত শোরগোল পড়েছে তখন, প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা কী? সকল ধর্মের পাশে থাকা বলতে কাকে বোঝায় তা স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিত রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরই এক ব্যক্তি।
এক মুসলমান মুফতির একটি বক্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে তিনি যা বলেছেন তাতে সকল ধর্মকে সম্মান করার প্রকৃত অর্থ কি তা স্পষ্ট। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রচুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা এবং সকল ধর্মকে সাথে নিয়ে তাদের সম্মান করার ব্যাখ্যা একেবারেই ভিন্ন। যার ফলে বারে বারে বিরোধীদলের কটাক্ষের মুখে ও পড়তে হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। যেমন প্রায় সই শুভেন্দু অধিকারী কে বলতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ফেক হিন্দু। কারণ একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ের পরিচয় দেন তার পাশাপাশি তিনি হিন্দুদের পক্ষে কথা বলতে গেলে তাকে সংখ্যালঘুদের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করতেও দেখা যায়।
সম্প্রতি ওয়াকফ বিল পাস হবার পর থেকে তার বিরোধিতা করে আসছে রাজ্য সরকার। তেমন ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই আইনের বিরোধিতা করতে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা,এমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু যখন এই ওয়ালকাপ আইন বিরোধিতার ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা মূলত মুর্শিদাবাদ এর ধুলিয়ান জঙ্গিপুর ও মালদার বেশ কিছু অঞ্চল তখন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি দায় ঠেলে দেয় কেন্দ্রের ওপর পাশাপাশি এই ঘটনাকে বিএসএফের চক্রান্ত বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি জানান বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে এই ধরনের অশান্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এত কিছু ঘটার পরেও মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ বলেই দাবি করেন।
এদিকে, যখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ওয়াকফ সম্পত্তি নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করার চেষ্টা করছে তখন রাজ্যের শাসক দল সংখ্যালঘুদের উসকে দিচ্ছে পথে নেমে ওয়াকআপ আইনের বিরোধিতা করতে। যার ফলে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বলছে। বাড়িঘর ভাঙচুর হচ্ছে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে আর এই গোটা হিংসার ঘটনার দায় কেন্দ্র সরকার ও বি এসএফ এর ওপর চাপাতে কোন দ্বিধাবোধ নেই শাসক দলের।আর এই সমস্ত মুখোশধারী শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের মুখোশই খুলে দিল এক মুসলিম মুফতি। শাসক দলের নেতাদের মুখোশ খুলতে কি বলেছেন এই মুসলিম মুফতি শোনাবো,
পাশাপাশি দেখা গেল, রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের কর্তা ব্যক্তিরাও একইভাবে কেন্দ্রের সরকারের ওয়াকফ আইনের সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ দিলেন, এই সকল ব্যক্তিত্বরা ঠিক কি বললেন, শুনুন,
অর্থাৎ যে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে তোষণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ওয়াকআপ আইনের বিরোধিতার ফলে যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির পাশাপাশি সেই সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের তরফ থেকে কটাক্ষের শিকার হলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষতা কি তার চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Discussion about this post