মুখ্যমন্ত্রীর বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট বদল করে টাকা জালিয়াতির অভিযোগ। ফলে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত উপভোক্তারা। টাকা ঢোকার আগেই রাতারাতি বদল হয়ে যাচ্ছে অ্যাকাউন্ট নম্বর। এক দুজন নয় গ্রামের বহু বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্ট বদলে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা নয় ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে মালদহ জেলাশাসক থেকে শুরু করে ইংলিশ বাজার বিডিও দপ্তরেও। কিন্তু সমস্ত প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। মালদহের ইংলিশবাজার ব্লকের বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটারি গ্রামের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। কেলেঙ্কারির পেছনে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অথবা মেম্বাররা যুক্ত থাকতে পারে, না হলে কিভাবে সম্ভব? অভিযোগ করছেন উপভোক্তারা।
এলাকার বাসিন্দা উপভোক্তা বিকাশ সরকার অভিযোগ বলেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় তার নাম এসেছে, সার্ভে টিমও এসেছিল। তার মোবাইলে এসএমএস আসে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ৬০০০০ টাকা ঢুকেছে। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে যখন সে তার ব্যাংকের বই যাচাই করে তখন দেখতে পান তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি শুধুই মোবাইলে এসএমএস এসেছে। পরে ব্যাংকে তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে ফেলা হয়েছে। ওই এলাকারই বাসিন্দা বিকাশ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে তার বাড়ি তৈরি করার প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে। পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মোহাম্মদ রাজু মিয়া জানান, আমরা এই ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব। কটাক্ষ করে মালদা দক্ষিণ জেলা বিজেপির সভাপতি অজয় গাঙ্গুলীর বক্তব্য, এই পদ্ধতি মমতা ব্যানার্জির সরকারে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে। এর আগে আমরা দেখেছিলাম ট্যাপ কেলেঙ্কারি। নেতা মন্ত্রী থেকে প্রশাসনিক স্তরের সকলেই জড়িত এই কেলেঙ্কারিতে।
Discussion about this post