গোটা ভারতবাসী অপেক্ষা করছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে বার্তার জন্য। ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষে ভারতীয় বীর সেনার কৃতিত্বে একদিকে যেমন প্রত্যেককে গর্ববোধ করছে, ঠিক অন্যদিকে এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মনে করা হয়েছিল, ভারত পাক সংঘর্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংঘর্ষ বিরতিতে সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অবস্থান স্পষ্ট করবেন ভারতের। কিন্তু তার দীর্ঘ বক্তব্যে আমেরিকা বা ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়ে কোনও মন্তব্যই ছিল না। শুধু বললেন, বিশ্বের বহু দেশের কাছে সংঘর্ষ বিরতি চেয়ে সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান।
গোটা দেশবাসীর নজর ছিল সোমবার রাত ৮টা। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের দিকে। অপরেশন সিঁদুরে ভারতার তিন বাহিনীর সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় মেয়েদের সিঁদুর মোছার পরিনাম কি, তা বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত। তারপরই তিনি বলেন, পাকিস্তান ভারতের থেকে বাঁচার জন্য গোটা দুনিয়া ঘুরেছে। পাকিস্তানের ডিজিএমও ফোন করেছে ভারতকে।
এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিয়েছেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলতে হবে, কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে হবে। রক্ত এবং জল একসঙ্গে বয় না। ঠিক কি বলেছেন, শুনুন
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী এটাও স্পষ্ট করে দেন, নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেলে চুপ থাকবে না ভারত। সন্ত্রাস হলে করা হাতের দমন করবেন। অপারেশন সিঁদুর বন্ধ হয়নি। শুধুমাত্র স্থগিত করা হয়েছে।
কিন্তু বিতর্ক দানা বেধেছে, শনিবার করা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতি নিয়ে। বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকার মধ্যস্থতায় ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতিতে যেতে রাজি হয়েছে। শুধু তাই নয়, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশ্যের ভাষণের মাত্র কয়েক মিনিট আগেই ট্রাম্প কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে দুই দেশকেই। সংঘর্ষ বিরতি না হলে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। মনে করা হয়েছিল, অন্তত ট্রাম্পের করাই মন্তব্য নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আমেরিকা বা ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়ে কোন মন্তব্যই করলেন না নরেন্দ্র মোদি।
Discussion about this post