বার্ধক্য সবারই একদিন না একদিন আসবে। কিন্তু এখন সময়ের আগেই বৃদ্ধ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন, অতিরিক্ত দূষণ আমাদের ত্বকের উপর প্রভাব ফেলছে। তবে অকাল বার্ধক্য মোটেই সাধারণ লক্ষণ নয়। অকাল বার্ধক্য থেকে দূরে থাকতে, আমরা কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার উপরে ভরসা রাখতে পারি। এর মধ্যে একটি অন্যতম হল, জবা ফুল।
শুধু বার্ধক্য কমাতেই নয়, জবা ফুলের আরো নানান গুনাগুন আছে। প্রদাহ নাশক হিসাবে জবা ফুল বিশেষ কার্যকরী, সাথে জবা ফুলের চা খাওয়ারও বিশেষ চল রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ কার্যকরী। এই ফুলের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে বিভিন্ন রকম প্রদাহের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। জবা ফুল আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি, রইল তার হদিস।
জবা ফুলের চা আমাদের শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। জবা ফুলের চা খেলে আমাদের শরীর থেকে যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ সহজেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। আমাদের ত্বকের আদ্রতার জন্য বিশেষ কার্যকরী জবা ফুল। জবা ফুল ত্বকের আদ্রতাকে বজায় রাখে। গরমে জেল্লাদার ত্বক পেতে ব্যবহার করতে পারেন জবা ফুল। এছাড়া আমাদের ত্বকের ব্রণ ও ত্বকে ছোট খাটো ক্ষতও পূরণ করে জবা ফুল।
আমাদের ত্বক তরুণ , উজ্জ্বল এবং জেল্লাময় করে তুলতে আমরা অনেক ধরনের ট্রিটমেন্টই করি। কিন্তু জবা ফুলের প্রাকৃতিক উপাদান ত্বক টানটান ও তারুণ্যময় করে তুলতে বিশেষ উপকারি। জবা ফুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় দুটি উপাদান। এছাড়া ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতেও জবা ফুলের জুড়ি মেলা ভার।
কি ভাবে খাবেন জবা ফুল ?
বাড়িতে জবা ফুল তুলে , ঘরোয়া পদ্ধতিতে তাকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে , পাউডার বাড়িয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া বাজারে হিবিসকাস পাউডারও পাওয়া যায়। তাছাড়া এখন জবা ফুলের চা ও পাওয়া যাচ্ছে সচারাচর। জবা ফুলের পাউডার জলে গুলে ড্রিঙ্কস বানিয়ে খেতে পারেন।
Discussion about this post