অত্যাধিক ক্লান্তি, অবসাদ, এবং একঘেয়েমি কাটাতে চা আমরা সকলেই পান করি। বাঙালিদের মধ্যে অনেকেই চায়ের প্রতি নেশাগ্রস্ত। চা সবাই খেলেও চা এর পাতা খান এমন মানুষ খুব কমই আছে। তবে এবার চা এর পাতা থেকেই চা ছাড়াও বানিয়ে নিন অন্যান্য খাবার। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এটা আবার কেমন কথা! তাহলে এখনি জেনে নিন চায়ের পাতা দিয়ে কি কি রান্না করা যায়।
তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে ইদানিং ‘আইসোড টি’ খাওয়ার রীতি রেয়াজও চালু হয়েছে। কিন্তু খাবারে চা! এমনটা একটু আশ্চর্যই। খাবারে স্মোকি স্বাদ আমরা সবাই চাই। সেই স্বাদ এনে দিতে পারে চা পাতা। এক্ষেত্রে ব্ল্যাক টি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া সামুদ্রিক খাবার থেকে শুরু করে মাংস, ডিম প্রভৃতি খাবার দিয়ে ‘টি স্মোকড ‘ তৈরি করতেও চা পাতা প্রয়োজন হয়।
চানা মশলা, ছোলে কিংবা কালা ভুনার মতো খাবারে যে কালচে রং দেখা যায়, তার পিছনেও কিন্তু চা পাতার বিশেষ অবদান থাকে। ছোলা বা মাংস সেদ্ধ করার সময়ে চায়ের লিকার ব্যবহার করলে বিশেষ স্বাদযুক্ত খাবার তৈরি হয়।
সামনেই বর্ষা আসতে চলেছে, আর বর্ষাকালে বেশিরভাগ খাবারই একটা ভ্যাপসা গন্ধযুক্ত হয়ে যায়। বিশেষ করে চাল, ডালিয়া, মিলেট এই জাতীয় খাবার গুলি । যদি চাল বা ডালিয়া এমন গন্ধ হয় তবে ভাত ব ডালিয়া যখন সেদ্ধ করবেন সেই সময় একটি পাত্রে সুগন্ধি টি ব্যাগ ইউজ করতেই পারেন। তারপর যদি ভাত রান্না করেন সেই ভাত হবে সুগন্ধি যুক্ত।
বেকিং শিল্পে গ্রিন টির ব্যয়ভার আমরা সবাই জানি। স্বাদ যেমনি হোক না কেনো টি এর মিশ্রণের প্রয়োজনীয়তা বিশেষ কার্যকরী। এছাড়া আইসক্রিম, কেক, কুকিতে চা পাতার গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়।
আমাদের রোজগার ডায়েটে স্যুপের বিশেষ চল আছে। স্যুপ ডায়েটে বিশেষ উপযোগী। কিন্তু তেল মশলা ছাড়া সেই স্যুপ বিশেষ রং যুক্ত হয়না । তবে সেই স্যুপ যদি আপনি চা ব্যবহার করেন তবে বিশেষ রং যুক্ত স্যুপ তৈরি হয় । মুরগির মাংস কিংবা সব্জি দিয়ে তৈরি করা স্যুপের স্বাদ বদলে দ্বিগুণ করতে পারে চায়ের পাতা।
Discussion about this post