আমাদের পৃথিবার তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল। এক সুবিশাল জলরাশির মধ্যে রয়েছে অজস্র প্রাণী। যাদের মধ্যে কেউ কেউ উভচর, আবার কেউ কেউ জলচর। অন্যদিকে, একভাগ স্থলের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ব্রাজিলে রয়েছে আমাজনের গভীরঅরণ্য। এখানেই রয়েছে আমাজন অববাহিকা। যেখানে নাম না জানা অসংখ্য জীবের বাস। ঘন ওই অরণ্যে এমন অনেক প্রজাতির প্রানী রয়েছে, তাদের অনেককেই আমরা চিনি না। তাদের চাক্ষুস তো দূর, নামও শুনিনি কখনও। তবে জানেন জীব জগতে জন্মগ্রহণ করলে তার মৃত্যু অনিবার্য। এ কথা আমাদের সকলেরই জানা। তবে কেন এ কথা বলছি ভাবছেন তো? আজ আপনাদের জানাবো এমন এক প্রাণীর কথা, যার কিনা মৃত্যু নেই। সে অমরত্ব লাভ করতে সক্ষম। অবাক লাগলো! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ব্যাকওয়ার্ড এজিং জেলিফিশ। প্রাণীবিদদের কাছে যার পরিচয় টারিটোপসিস ডোরনি। একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য জেলিফিশের এই ক্ষুদ্র প্রজাতিকে ‘অমর জেলিফিশ’ নামে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এটাই পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যারা কখনও মরে না।
এই প্রাণীটির একটি প্রধান বৈশিষ্ট হল, এরা পরিণত হওয়ার পর ফের আগের অবস্থাতেই ফিরে আসে। যা পরে আবারও বিকশিত হতে থাকে। গবেষকদের দাবি, এরা অসুস্থ হলে বা এদের শরীরে কোনও আঘাত লাগলে এরা পলিপ দশায় চলে যায়। এই পলিপ অবস্থায় থাকাকালীন এই জেলিফিসেরা নিজেদের চারপাশে মিউকাস মেমব্রন তৈরি করে একটি গুঁটি বেঁধে থাকে। এই অবস্থায় তারা মোটামুটি তিনদিন পর্যন্ত থাকতে পারে। এ দশাতেই তারা তাদের নিজেদের বয়সকে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ, এই সময় তারা নিজেদের কোষকে পাল্টে নতুন কোষে রূপান্তরিত করে বয়সকে কমিয়ে আনতে পারে সহজেই। এই একই প্রক্রিয়ায় নিজেদেরকে বারংবার রূপান্তরিত করার জন্যই তারা আজ অমর। তবে যদি কোনও বড় মাছ বা জলজ কোনও প্রাণী তাদেরকে খেয়ে ফেলে, সেক্ষেত্রেই তাদের মৃত্যু সম্ভব। না হলে বার্ধক্যজনিত কারণে এদের মৃত্যু হয় না বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
Discussion about this post