বিভিন্ন খাবারে স্বাদ বদলাতে এর জুড়ি মেলা ভার। আছে ভিন্ন গন্ধ থেকে শুরু করে ভরপুর খাদ্যগুণ। দক্ষিণ ভারতে প্রত্যেকটা রান্নাতেই অপরিহার্য এই পাতা। বিশেষ কয়েকটি রোগ নাশক হিসাবেও এই পাতা ব্যবহৃত হয়। কারি পাতা, যা রূপচর্চা থেকে শুরু করে সুস্বাদু খাবার তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে কারিপাতা গাছ কিন্তু সচরাচর খুব বেশি দেখতে পাওয়া যায়না। বিশেষ পদ্ধতিতে এই গাছটিকে যত্ন করতে হয়। আপনি যদি বাড়িতে এই গাছকে ফলাতে চান তাহলে বিশেষ কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করা দরকার।
আপনি যদি বাড়িতে কারি পাতা গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। বীজ থেকে কারিপাতা গাছকে বড় করা খুব সমস্যা। বীজ থেকে কারি গাছকে বড় করতে হলে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই সব সময় চেষ্টা করুন যাতে ছোট ছাড়া গাছ এনে বসানো যায়। কারণ, ছোট চারা গাছ থেকে সঠিক পদ্ধতিতে বড় করতে পারলে সহজেই ফলানো যায় এই গাছকে।
কারিপাতা গাছ বেড়ে ওঠার জন্য অনেকটা জায়গার প্রয়োজন হয়। সাথে এই গাছ বেড়ে ওঠা বেশ সময় সাপেক্ষ। ঘরের মধ্যে ও শুষ্ক আবহাওয়াতে এই গাছ বেড়ে উঠতে পারেনা। তাই যতটা সম্ভব ফাঁকা খোলা জায়গায় এই গাছকে রোপণ করুন। কারণ ফাঁকা জায়গায় বেশ ভালো ভাবে বাড়তে পারবে কারি পাতা গাছ। প্রায় ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এই গাছ। সময় মতন যত্ন না নিলে বেশ কয়েক বছর লাগে বড় হতে। তাতে ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।
পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে এই গাছকে সর্বদা রক্ষা করতে হয় । কারণ এই গাছ সর্বদা পোকামাকড়ের আক্রমণের সম্মুখীন হয়। যার ফলে এর পাতা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে পারে। গাছ সুরক্ষার জন্য বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন। কারি পাতা গাছ যেমন ঘরের ভিতর শুষ্ক আবহাওয়াতে বাড়তে পারেনা, তেমনি খুব ঠাণ্ডা আবহাওয়াতেও এই গাছের বৃদ্ধি অত্যন্ত ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত ঠান্ডায় এই গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
তাছাড়া বেশি আলো, খোলামেলা পরিবেশ এবং বেশি ফাঁকা জায়গা না পেলে এই গাছ যেমন ঠিকঠাক ভাবে বৃদ্ধি পায়না, তেমনি ছত্রাকের হামলা ঘটতে পারে এই গাছে। বেশ রোদ ঝলমলে আবহাওয়া, ও উষ্ণ আদ্র আবহাওয়াতে এই গাছ ভালো ভাবে বাড়তে পারে। তাই টবে লাগানোর থেকে আমরা যদি ফাঁকা জায়গায় উঠোনের মধ্যে পর্যাপ্ত আলো হওয়া যুক্ত জায়গায় কারি পাতা গাছকে রোপণ করি তবে খুব ভালো ভাবে বৃদ্ধি পাবে এই গাছ।
Discussion about this post