কাঁথির তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক থেকে বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। ভোটে হারের পরই, সংগঠনের নেতাদের ওপর ক্ষোভ উগরে দিলেন পরাজিত প্রার্থীরা। গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলা জুড়ে তৃনমূল ব্যাপক সাফল্য পেলেও,পরাজিত হয়েছে শুভেন্দুর গড় হিসাবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও কাঁথি আসন। কিন্তু শুভেন্দুকে শায়েস্তা করতে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র জয় করতে প্রথম থেকেই মরিয়া ছিলো তৃনমূল নেতৃত্ব। সেই অনুযায়ী ব্যাপক প্রচার ও মিছিল করা হয়েছিল শাসক দলের পক্ষ থেকে।পূর্ব মেদিনীপুর এসে প্রচার করে গিয়েছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দোপাধ্যায়।এসেছিলেন অভিষেকও। কিন্তু তা সত্বেও প্রেস্টিজ ফাইটে হারতে হলো কেনো তৃণমূলকে। এর পেছনে তৃনমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বই অন্যতম কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।অভিযোগ ব্লক নেতৃত্ব’কে বাদ দিয়ে রামনগর বিধানসভার সমানন্তরাল সংগঠন তৈরি করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি! সেই সমানন্তরাল সংগঠন তৈরি করার জন্যই লোকসভা নির্বাচনে রামনগর বিধানসভায় পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবং এই রামনগর থেকে ৯ হাজার ও ২০০ ভোটে পিছিয়ে থাকা হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে কাঁথি লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উওম বারিক ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা’র উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন রামনগর ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক নেতৃত্বরা। এছাড়াও বিধানসভা নির্বাচনে লিড পাওয়া পটাশপুর কেন্দ্র থেকেও,লোকসভায় লিড পাননি উত্তম বারিক। তা নিয়েও সরব হয়েছেন তৃনমূলের একাংশ।
এই দুটি কেন্দ্রে পরাজয়ের পর ফের তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের একবার সামনে উঠে এসেছে। এমত অবস্থায় দলের নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবই কাঁথির প্রেস্টিজ ফাইটে তৃনমূলের হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নিজের হার প্রসঙ্গে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্নভাবে তাঁদের মন্তব্য পোষণ করছেন যে আমরা আমাদের নেতৃত্বের সহযোগিতা পাইনি।’ অর্থাৎ হারের পর বিজেপির অন্দরে যেমন অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠছে, ঠিক তেমনই হারের পর তৃণমূলের মধ্যেও শুরু হয়েছে জোর কাটাছেড়া।
Discussion about this post