রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে। সর্বসমক্ষে তাঁর কাজের প্রশংসাও করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিরতি নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন সেই অভিষেক। বুধবার সকালে টুইট করে সেই ঘোষণা করেছেন অভিষেক। যদিও বিরতির কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি, তবু তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই ঘোষণায় জল্পনা বেড়েছে দলের অন্দরেও। বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যে শারীরিক সমস্যা চলছে, সেটার কারণে আমি সংগঠন থেকে সংক্ষিপ্ত বিরতি নিচ্ছি।’
অভিষেক লিখেছেন, ‘‘চিকিৎসার জন্য আমি সংগঠন থেকে সংক্ষিপ্ত বিরতি নেব। এই সময় সাধারণ মানুষের চাহিদা কী, তা আরও ভাল ভাবে অনুধাবনের সুযোগ আমার কাছে রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, রাজ্য সরকার দ্রুত এবং ভাল ভাবে মানুষের সমস্যার সমাধান করবে এবং মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করবে।’’ যদিও ঠিক কী শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তা খোলসা করে বলেননি অভিষেক। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর চোখে সমস্যা আছে। সেজন্য অস্ত্রোপচারও করিয়েছেন। ফের চোখেই কোনও সমস্যা হচ্ছে নাকি অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে, তা জানাননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে ‘সাময়িক বিরতির’ নিলেও মানুষের মধ্যেই থাকবেন অভিষেক।
তিনি জানিয়েছেন, ‘সাময়িক বিরতির’ সময় তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজ থেকে দূরে থাকলেও মানুষের মধ্যেই থাকবেন তিনি। সাধারণ মানুষ কী সুবিধা পাচ্ছেন, কী অসুবিধা আছে, কোথায়-কোথায় উন্নতির প্রয়োজন আছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করবেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘আমাদের মানুষ এবং বিভিন্ন শ্রেণির কী চাহিদা, সেটা আরও ভালোভাবে বোঝার ক্ষেত্রে এই সাময়িক বিরতির সময়টা আমার কাছে একটি নয়া সুযোগ হতে চলেছে।’
উল্লেখ্য, গত বছর এই সময়েই তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫১ দিনের সেই যাত্রায় কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ যাত্রা করেছিলেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ১৩৫টি জনসভা, ৬০টি বিশেষ অধিবেশন, ১২৫টি রোড-শো, ৩৩টি রাতের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। যার প্রভাব পড়েছে ২৪ এর ভোট বাক্সে।
Discussion about this post