বাম ও কংগ্রেসের আমলে উন্নয়ন হয়েছে রায়গঞ্জে। কিন্তু বিজেপি ও তৃণমূল রায়গঞ্জ থেকে এইমস নিয়ে চলে গিয়েছে। তারপরেও রায়গঞ্জের মানুষ এই দুই দলকে কেন ভোট দেয়? বুধবার রায়গঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন জমা দেওয়ার পর এমনটাই বলেন মোহিত সেনগুপ্ত। আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের ৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। বুধবার সকালে মনোনয়ন জমা দেন সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত। এদিন কসবা মোড় থেকে পায়ে হেঁটে মিছিল করে নমিনেশন জমা দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এদিন মিছিলে পা মেলালেন প্রচুর কর্মী সমর্থক।
নিজের জয় সম্পর্কে মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমাদের লড়াই সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই। এরা কোনও কাজ করবে না। নিজেদের পকেট ভরার জন্য এরা পার্টি করে। দু’জনেই দলবদলু ও লোভী। এরা জয়ী হলেই অন্য দলে চলে যায়। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারে সাধারণ মানুষ আমাদের ভোট দেবে। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে আমার জয় এবার ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। জেতার পর কীভাবে কাজ করতে হয় আমি ভালো মতো জানি। পুর এলাকার উন্নয়ন কীভাবে করেছি মানুষ ভালো মতো জানেন। আমাদের সময় সাধারণ মানুষ কী রকম পরিষেবা পেয়েছেন তা রাস্তায় বের হলেই শোনা যায়। এরপরেও বলতে হবে, কারা কাজ করে, আর কারা করে না। তৃণমূল কংগ্রেস মানেই সন্ত্রাস, তাই এবারও সন্ত্রাস করবে সেটা জেনেই আমরা লড়ছি।’ এবারে রায়গঞ্জ আসনে মূল লড়াই যে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থীর হবে তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত দুই দলের কর্মীরা। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘কংগ্রেস নেতৃত্ব যতই লম্বা চওড়া ভাষণ দিক রায়গঞ্জ আসন তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকবেই।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ এবং ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে রায়গঞ্জ থেকে জিতেছিলেন মোহন সেনগুপ্ত। এরপর ২০২১ -এর নির্বাচনে তাঁকে হারিয়ে জয় ছিনিয় নিয়েছিলেন বিজেপির কৃষ্ণ কল্যাণী। যদিও তারপর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে ফের বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। অন্যদিকে, রয়েছেন বিজেপির মানস কুমার ঘোষ। শেষ পর্যন্ত কে করবে বাজিমাত, জানা যাবে ১৩ জুলাই।
Discussion about this post