বসিরহাট সন্দেশখালি এলাকা জুড়ে একসময় বেতাজ বাদশা হয়ে নিজের সম্রাজ্য তৈরি করা শেখ শাহজাহান এই মুহূর্তে পুলিশের হেফাজতে। চলছে আইনি প্রক্রিয়া। শুক্রবার সন্দেশখালি কান্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান, ভাই শেখ আলমগীর ও দিদার বাক্স মোল্লা এই তিনজনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয়। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি কাণ্ডে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ফারুক আকুঞ্জিকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল নিম্ন আদালত। এই প্রথম জেলমুক্তি হচ্ছে সন্দেশখালি কাণ্ডে কোনও অভিযুক্তের। পাঁচ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মিললেও একগুচ্ছ শর্ত বেঁধে দিয়েছে বসিরহাট আদালত। বসিরহাট আদালতের শর্ত, সন্দেশখালি এলাকায় ঢুকতে পারবেন না ফারুক আকুঞ্জি। সপ্তাহে দু’দিন সিবিআইয়ের দফতরে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। এমনকী তাঁর থাকার ঠিকানাও সিবিআইকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত একাধিক মানুষের জমি কেড়ে নেয়া অন্যায় ভাবে জমি দখলের অভিযোগ ওঠে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। উদ্ধার হয় একাধিক বিদেশ থেকে আনানো আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও হদিশ মেলে শেখ শাহজাহানের কয়েকশো কোটির সম্পত্তির। এরপর থেকেই বেপাত্তা ছিল শেখ শাহজাহান তবে বেশ কিছুদিন লুকোচুরি খেলার শেষে অবশ্য শেখ শাহজাহান নিজেই আত্ম সমর্পণ করে। গ্রেফতার করা হয় শেখ শহজাহানকে, শুরু হয় তদন্ত প্রক্রিয়া। গত ১৭ মে ইডির তরফে জানানো হয়, শাহজাহানের ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা আটক করা হয়েছে। তার পাশাপাশি, ৫৫টি স্থাবর সম্পত্তি, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, তা-ও আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালত তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। ১৪ দিনের সেই জেল হেফাজত শেষে শুক্রবার আবারও বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয় তাদের।
Discussion about this post