পানাগড়ের হাবিবুল্লার পরে নবদ্বীপের মায়াপুর থেকে জঙ্গিযোগে গ্রেপ্তার হারেজ শেখ নামে ওপর এক কলেজ পড়ুয়া। মঙ্গলবার তাকে দূর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যোগ রাখার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কাঁকসা থানার পানাগড় মীরে পাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ হাবিবুল্লাহকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এবার নদীয়া জেলার নবদ্বীপ থানার মায়াপুর মোল্লাপাড়া থেকে জঙ্গিযোগে গ্রেফতার হারেজ সেখ নামের এক যুবক। মহম্মদ হাবিবুল্লাহ মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মেধাবী এই ছাত্রের সাথে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের ওতপ্রোত যোগ খুঁজে পায় এসটিএফ কর্তারা। তার বাড়ি থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়।
দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তাকে তোলা হলে এস টি এফ ১৪ দিনের হেফাজতে পায় মহম্মদ হাবিবুল্লাহকে। এসটিএফ কর্তারা এরপর নবদ্বীপ থানার মায়াপুর থেকে গ্রেপ্তার করলো হারেজ সেখকে।তাকেও মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হল।দুর্গাপুর আদালত ১৪ দিনের এস টি এফ হেফাজত দেয় । ২৭ বছর হারেজ শেখের সাথে মহাম্মদ হাবিবুল্লাহর কিরকম যোগ ছিল তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফ কর্তারা। জঙ্গিযোগে যুবককে গ্রেফতারের ঘটনা জানাজানির পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হারেজ শেখের পরিবারের দাবি, তার মাথার ঠিক নেই। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলছে। তবে এই এলাকার কারও সঙ্গে সেই রকম কথা বলতো না হারেজ। পড়াশুনা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত করলেও সারাদিন মোবাইল ঘাটতো আর মাঠে কাজ করতো। তবে নামাজ পড়তে মসজিদে যেত মাঝে মধ্যে।
নবদ্বীপের মায়াপুরের মোল্লা পাড়ায় বাড়ি হারেজ শেখের।বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘পানাগড়,বারুইপুর সোনারপুর বারবার এরকম ঘটনা দেখছি। এটা প্রথমবার নয়। পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত নিরাপদ জায়গা জঙ্গিদের থাকার জন্য। সারা ভারতবর্ষে যখন কোন জঙ্গি ধরা পড়ছে যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তখন তারা বলছে আমরা তো পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছি।’ এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজন সহযোগীর সন্ধান চালানো হচ্ছে। এরমধ্যেই একজনকে আজকে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Discussion about this post