শেষ রাজ্য বাজেটে সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের জন্য এপ্রিল ও মে, দু’মাসে পাঁচ হাজার করে দশ হাজার টাকা ভাতা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। যে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ সমুদ্রসাথী’। এই প্রকল্পে সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের তালিকা তৈরীতে বিস্তর বেনিয়মের অভিযোগে সরব হয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি। এরই মধ্যে ১৫ জুনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে ‘সমুদ্রসাথী’ পোর্টাল। ফলে আবেদন প্রক্রিয়াও পুরোপুরি বন্ধ। সবমিলিয়ে অথৈ জলে প্রকল্পটি। এই টাকা এপ্রিল, মে মাসে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত একজনও সামুদ্রিক মৎস্যজীবী এই ভাতা পাননি। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সম্পাদক মিলন দাস বলেন পঞ্চায়েতের দেওয়া মৎস্যজীবী শংসাপত্র নিয়ে এই কার্ড তৈরী করা হয়। ফলে বিস্তর বেনিয়ম ধরা পড়ে। রাজনৈতিক ক্ষমতার দ্বারা মৎস্যজীবী নয় যারা তাদেরকেও কার্ড করে দেওয়া হয়েছে।
প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত হয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের এই কার্ডেও ব্যাপক গরমিল প্রকাশ্যে এসেছে। অনেকের মিষ্টি বা নোনা জলের মৎস্যজীবী কার্ড এসেছে। কিন্তু এই কার্ড থাকলে এই প্রকল্পে আবেদনই করা যাবে না। দুয়ারে সরকার শিবির থেকে এই ভুল করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৎস্যজীবীদের। কবে মিলবে এই ভাতা? সরকারি আধিকারিকরাও অন্ধকারে। হতাশ দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষাধিক সামুদ্রিক মৎস্যজীবী। বিরোধীদের কটাক্ষ সমুদ্রসাথী প্রকল্প তৃণমূল সরকারের ভোট বৈতরণী একটি প্রকল্প। রাজ্য সরকার সমুদ্রসাথী প্রকল্পের নামে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে দাবি করেছে বিজেপি।
Discussion about this post