ইসলামপুরের তৃণমূল নেতা বাপি রায়ের খুনের ঘটনায় ,সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল মৃত তৃণমূল নেতার পরিবার। তৃণমূল নেতা বাপি রায়কে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে অনেকে উপস্থিত থাকলেও কেন শুধুমাত্র তাঁর স্বামীকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হল? সেই প্রশ্নও তুলেছেন রাজুর স্ত্রী। পুলিশ জানাচ্ছে গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে বাইরের রাজ্যের কোনও গ্যাংয়ের যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ইসলামপুর মহকুমার শ্রীকৃষ্ণপুরের একটি ধাবায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপি রায়। তিনি ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক তৃণমূল নেতা মহম্মদ সাজ্জাদ।
নিহত তৃনমূল নেতা বাপি রায়ের স্ত্রী লিপি বিশ্বাস রায় বলেন, “আমার স্বামীকে কেন খুন করা হলো তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয় । আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাই” তিনি আরও বলেন “আমার স্বামীকে খুন করার পাশাপাশি তার হাতের আংটি, মোবাইল, টাকা সব ছিনতাই করা হয়েছে ।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে একটি হোটেলে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা আলোচনায় বসেছিলেন। ঠিক সেই সময় দশ জনের একটি দুষ্কৃতী দল তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুড়ি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হন বাপি রায় এবং মহম্মদ সাজ্জাদ। দ্রুত তাঁদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক বাপি রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মহম্মদ সাজ্জাদকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই প্রসঙ্গে বাপির এক দিদি বলেন, ‘‘চোখে, কাঁধে সব জায়গায় গুলি করেছে। রাজনৈতিক কারণেই এই খুন।
আমরা ওদের শাস্তি চাই। এত বড় ষড়যন্ত্র কে করল, জানতে হবে। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।’’ বাপির স্ত্রীর সংযোজন, ‘‘গুলিতে গুলিতে ওঁকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। বিকেলে কেউ ফোন করে ডেকেছিল। শুনেছি দলের অনেকে ছিলেন। বৈঠক হচ্ছিল। হঠাৎ আমাদের কাছে ফোন এল, শুনলাম কারা ওঁকে গুলি করেছে। ছুটে গিয়ে দেখলাম পড়ে আছে। চোখে, কাঁধে, কানে, বুকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। সিবিআই তদন্ত চাই।’’ প্রসঙ্গত, মৃত বাপি রায়ের শরীরে আটটি গুলির ক্ষত পাওয়া গিয়েছে । ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Discussion about this post