জয়ন্ত সিং এর উত্থানের পেছনে পুলিশের নির্লিপ্ততা। মুখ খুলেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। অভিযোগ এরপরই পেয়েছিলেন হুমকি ফোন। হুমকি ফোনের দিন ফোনের ওপারে কে ছিল তার পরিচয় প্রকাশ্যে আনল পুলিশ। এদিকে ভুল কিছু হয়ে থাকলে তা সংশোধনের আশ্বাস দিলেন সাংসদ সৌগত
প্রথমে মা-ছেলেকে রাস্তায় ফেলে পিটুনি। এরপর আড়িয়াদহের ‘বাহুবলী’র আরও এক কাণ্ড। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাবঘরে এক তরুণীকে বেধরক মারধর করা হচ্ছে। ভিডিওতে তরুণীর চিৎকার কানে এলেও আদতে নিগৃহীত ব্যক্তি কোন মহিলা নন তিনি পুরুষ। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর দাবি করেছে প্রশাসন । দিনদুপুরে যারা এমন অত্যাচার করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নির্লিপ্ত কেন। প্রশ্ন উঠতেই মুখ খুলেছেন মদন-সৌগত। সাংসদ-বিধায়ক সকলেই পুলিশের ঘাড়ে দায় ঠেলেছেন। যা হয়েছে ভুল হয়েছে। স্বীকার করে নিয়ে সাংসদ সৌগতর দাবি করেন এমনটাই।
তবে জয়ন্তর মতো নেতাদের বাড়বাড়ন্তে কোনভাবে দায় এড়াতে পারে না দল। পরিস্থিতি মেপেই দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন সৌগত। বললেন কোন দলীয় নেতা-কর্মীর সঙ্গে সমাজ বিরোধী কিংবা প্রোমোটারের সম্পর্ক থাকলে তাঁকে শোকজ করা হবে। সোমবার কামারহাটি নজরুল মঞ্চে বিধায়ক মদন মিত্র, পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা সহ দলের কাউন্সিলর, স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাশাপাশি বৈঠকে প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে দলীয় কর্মীদের অনুরোধ জানানো হয়। কামারহাটির বিষয় একমাত্র কথা বলবেন সৌগত। জানিয়ে দিলেন স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্র। বলাবাহুল্য আড়িয়াদহের ঘটনাটি সামনে আসার পর মুখ খুলেছিলেন মদন। প্রকাশ্যে তাঁকে দলের একশ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে দেখা গিয়েছিল। তথাকথিত দলের নেতাদের একাংশের প্রশ্রয়ে জয়ন্ত সিং এর মতো দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত বোঝাতে চেয়ে ছিলেন ঠারে ঠারে।
যদিও শাসকদলের তৎপরতাকে আইওয়াশ বলছেন অর্জুন সিং এর মতো বিজেপি নেতারা। প্রোমোটারি ছাড়া তৃণমূলের অস্তিত্বই বিপন্ন। বললেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ
বিরোধীরা অভিযোগ তুললেও আপাতত রাজ্যের শাসকদল সতর্ক। যে কোন বিতর্ক থেকে নিজেদের দুরে রাখতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কড়া নির্দেশ জারি করছেন তারা। কোন নেতা বা কর্মীর আত্মীয় বা পরিচিত কেউ প্রোমোটার হতেই পারেন। সম্পর্কের জাল ভেঙে কী ভাবে পেশায় প্রোমোটার ব্যক্তির থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখবেন দলীয় কর্মীরা? আর প্রোমোটার মানেই কি তিনি অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত? সেই প্রশ্নও উঠে আসছে। আর তাতেই মিটিমিটি হাসছেন বিরোধীরা। বলছেন এত সহজে কী পাপ ধোয়া যায়?
Discussion about this post