এর আগে অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। তখন তাঁর এই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছিল বিজেপি। ফের আরও একবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। সোমবার তিনি শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন মাতশ্রীতে গিয়েছিলেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একের পর এক তোপ দাগেন। কেদারনাথ মন্দির থেকে ২২৮ কেজি সোনা উধাও হয়ে গিয়েছে, এমনটাই দাবি, জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। তিনি বলেন, কেদারনাথে সোনা কেলেঙ্কারি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উঠছে না কেন? তার অক্ষেপ কেদারনাথ থেকে ২২৮ কেজি সোনা উধাও কোনও তদন্ত হয়নি। সোমবার মুম্বাইতে উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন ‘মাতোশ্রি’-তে এসেছিলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁকে দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দিরের প্রতিরূপ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তখনই সোনা কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আনেন তিনি। তাঁর মতে, আবার একটি মন্দির নির্মাণের অর্থ আবার কেলেঙ্কারি। স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “কেদারনাথে অনেক বড় সোনার কেলেঙ্কারি হয়েছে। কেন প্রকাশ্যে সেই প্রসঙ্গ তোলা হয়নি? সেখানে কেলেঙ্কারি করার পর, এখন দিল্লিতে আর একটি কেদারনাথ তৈরি করার কথা বলা হচ্ছে। তারপর আবার একটি কেলেঙ্কারি হবে। কেদারনাথ থেকে ২২৮ কেজি সোনা হারিয়ে গেছে। কোনও তদন্ত শুরু হয়নি। এর জন্য দায়ী কে? এখন বলছে তারা দিল্লিতে কেদারনাথ তৈরি করবে, এটা হতে পারে না। কেদারনাথ ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। তার জায়গা নির্দিষ্ট। দিল্লিতে আর একটি কেদারনাথ হতে পারে না।”
উল্লেখ্য, দিল্লিতে গত ১০ জুলাই একটি কেদারনাথ মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দিরের শিলান্যাস প্রসঙ্গে, সংবাদ মাধ্যমের সামনা সামনি হয়ে, তিনি কেদারনাথ মন্দির থেকে ২২৮ কেজি সোনা উধাও প্রসঙ্গ তুলে আনেন।
প্রসঙ্গত, চার ধামের চার পবিত্র হিন্দু মন্দিরের অন্যতম হল কেদারনাথ। গত বছর, কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজ চলছিল। সেই কাজে ১২৫ কোটি টাকার বড়-সড় কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কেদারনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। তিনি দাবি করেছিলেন, সোনার বদলে পিতলের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। তবে, মন্দির কমিটি তাঁর এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। এবার জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য, সেই ঘটনারই তদন্তের দাবি করলেন। এর আগে নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করারও বিরোধিতা করেছিলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ।
Discussion about this post