প্রথম ভারতীয় হিসেবে রাইফেল থ্রি পজিশনের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন স্বপ্নিল কুসালে। যোগ্যতা অর্জন পর্বে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রূপো এনেছেন ।অলিম্পিকে অবশ্য অভিষেক হলো । ২৮ বছরের শ্যুটার শুরু থেকেই ৫০ মিটার থ্রি পজিশন বা থ্রি পি ইভেন্টে সেরাটাই দিয়ে আসছেন । স্বপ্নীলের উঠে আসা স্বপ্নেরই মতো। মা কোলাপুরের ক্যাম্বেলওয়ারি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ।বাবা ও ভাই স্কুলের শিক্ষক আর স্বপ্নিল পেশায় রেলের টিকিট চেকার। আর এখানেই মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তার মিল দেখেন অনেকেই। অন্যভাবে জীবন সাজানোর জন্য বাবা মহারাষ্ট্রের স্পোর্টস প্রোগ্রামে দিয়েছিলেন ছেলেকে । ২০১৫ সাল থেকেই নজরে পড়ে যান। শুটিংয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ও হয়েছেন ।এবার ঝুলিতে অলিম্পিক পদক। এই ইভেন্টকে ম্যারাথন অফ শুটিং বলা হয়। স্ট্যান্ডিং,প্রোন ও পজিশনিং শ্যুট করতে হয়, থ্রিপি বলা হয় এই ইভেন্ট কে।৬০ শটের ম্যাচ একবার মনসংযোগ নষ্ট হলেই বিপদ। কেমন লাগছে অলিম্পিক পদক জিতে ?স্বপ্নিল বলেছেন,” দারুন লাগছে,
আবেগ প্রবণ লাগছে। ফেডারেশন ,স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ,কেন্দ্রীয় সরকার সবাই যেভাবে পাশে থেকেছে, আমি কৃতজ্ঞ ।চাপ ছিল না। তবে মাথায় ছিল ভারতের জন্য কিছু করতে হবে। এত বছর ধরে পরিশ্রম করছি ফিরিয়ে দিতেই হতো”। গগন নারাং তাকে আগলে রেখেছিলেন ।স্বপ্নিলের কথায়,”গগন ভাইয়া অনেকদিন ধরে পাশে থেকেছেন। অনেক ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন কি করতে হবে কোন ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়েছেন শুধু পদ্ধতি অনুসরণ করে গিয়েছি। শুরুর দুই এক শটের সময় পয়েন্ট দেখেছিলাম। তারপর থেকে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে ভালো শুটিং করার চেষ্টা করেছি”। ফাইনালের প্রস্তুতি কিভাবে নিয়েছিলেন ?স্বপ্নিল বলেছেন, “যে রুটিন অনুসরণ করি সেভাবেই ফাইনালের প্রস্তুতি নিয়েছি,।আলাদা কিছু করার চেষ্টা করিনি”
Discussion about this post