আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও সিবিআই এর। তরুণী চিকিৎসক খুনে তদন্ত শুরুর দিন থেকে একজন অধ্যক্ষ হিসেবে সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা ছিল প্রশ্নচিহেৃর মুখে। কেন হাসপাতাল থেকে জানানো হল তরুণী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন, কেন হাসপাতালের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হল না। ইত্যাদি নানা প্রশ্ন উঠে আসে। ইতিমধ্যে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। মামলাটির দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয়। তবে কোন নির্দেশ না দিয়ে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলা দায়েরের অনুমতি দেন কেবল।
এদিকে আর জি কর কাণ্ডে তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই। জানা গিয়েছে তদন্তকারীরা ৩ টি দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছেন। তদন্তের প্রয়োজনে ২৫ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। যেখানে দিল্লি থেকে আসা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক এবং মেডিক্যালের সদস্যরাও রয়েছেন।একটি দল ডেটা অ্যানালিসিস করছেন, আরেকটি দল ধৃত সঞ্জয় রায়কে দফায় দফায় জেরা করছেন এবং অন্য দলের সদস্যরা বাকিদের জেরা করছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালেই মৃতার বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। প্রায় ১ ঘণ্টা সেখানেই ছিলেন তাঁরা। যে কোন অপরাধ সংক্রান্ত ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে দাঁড়াতে পারে অভিযুক্তের কললিস্ট ও টাওয়ার লোকেশন। তদন্তকারীরা অপরাধের শেষ কিনারায় পৌঁছতে খতিয়ে দেখছেন সবটাই। এমনকি মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ইউসেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার আগে মোবাইলে ধৃত সঞ্জয় কি দেখেছে, কারোর সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপ কলে কথা বলেছে কিনা সে সেটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি ঘটনার পর থেকে সন্দীপ ঘোষের যাবতীয় কার্যকলাপ নজরে রাখা হচ্ছে।
Discussion about this post