তদন্ত শুরুর দিন থেকে তরুণী চিকিৎসক খুনে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। সোমবার প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিও থেকে উঠে এল আরও একটি প্রশ্ন। সম্প্রতি সেমিনার হলের একাংশের ছবি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে একাধিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
৯ ই অগাস্ট আর জি করের জরুরী বিভাগের উপর সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকড়াও কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সঞ্জয় একমাত্র ধৃত। অভিযোগ শুরুতেই সঞ্জয়ের পেশাগত পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে চাইনি কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার পদে ছিলেন বলেই চাপা দেওয়ার চেষ্টা বলে এমন অভিযোগ উঠে আসে।
তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর দিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা, হঠকারিতার সঙ্গে তরুণীর দেহ সৎকার করা ইত্যাদি নানা ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের সম্মুখীন। সম্প্রতি সেমিনার হলের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ঘটনার অকুতস্থলে বহু মানুষের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কি ভাবে সেমিনার রুমে এত মানুষ ঢুকে পড়ল ও পুলিশ কেন আটকাল না ইত্যাদি নানা প্রশ্ন রয়েছে। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটানো হয়। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখার্জি সাফ জানান, সেমিনার রুমের আয়তন ৫১ ফুট বাই ৩২ ফুট। ৪০ ফুট আগেই ঘিরে দিয়েছিল পুলিশ। বাকি ১১ ফুটে হসপিটালের স্টাফ, পুলিশ আধিকারিক, মৃতের পরিবারের সদস্যরা জমায়েত করেন
৯ ই অগাস্টের পর ১৪ ই অগাস্টের রাতে রীতিমত লুটরাজ চলে আর জি কর হাসপাতালে। ভেঙে দেওয়া হয় ইমার্জেন্সি বিভাগ। সেমিনার রুম যে ঝামেলাকারীদের টার্গেটে ছিল সেই কথাও বলতে শোনা যায়। সেদিন থেকেই তরুণী খুনে প্রমাণ লোপাটের দাবি জোরাল হচ্ছিল। সম্প্রতি সেমিনার রুমের ভিডিও সামনে আসার পর সেই দাবি আরও চড়াও হল। ঘটনাস্থলের এত কাছে কি ভাবে এত মানুষ পৌঁছে গেল, সেই প্রশ্ন উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা আরও একদফা প্রশ্নের মুখে পড়ল।
Discussion about this post