বিদায়ী বছর ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের।আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির নেত্রী শেখ হাসিনাও বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বহুবার সেই সরকার হাসিনার প্রত্যর্পণ চায় ভারতের কাছে। যদিও ভারতের তরফ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া পায়নি বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে হাসিনাকে দেশে ফেরাতেই ১৪ জন এজেন্ট কাজ শুরু করেছে।
গত ১০ মার্চ আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়েরের এক পোস্ট ঘিরে নতুন করে শেখ হাসিনার ফিরে আসা নিয়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। কয়েকদিন আগেই প্রথম সারির ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার ফিরে আসা নিয়ে প্রতিবেদনে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল।
যেখানে জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখা ছাত্র-জনতাসহ সবার একটাই কথা শেখ ফিরে আসবে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য।
আলজাজিরার সাংবাদিক সায়ের তার সেই পোস্টে উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কতিপয় উপদেষ্টা যারা অত্যন্ত দুর অভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্যে নিয়ে সরকারে প্রবেশ করেছে, তারা কিছুতেই সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এই চক্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেতরও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
সরকারের বাইরে থাকা এই চক্রের কয়েকজন অনুঘটকের নাম আমি আগেও বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছি। যদি অনতিবিলম্বে এদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। এই চক্রের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছেন।
যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে, ড.ইউনূসও সম্ভবত তার পদটি ত্যাগ করবেন। আর সেই সুযোগে তার পদটি কেড়ে নিতে সচেষ্ট রয়েছে ওই চক্র। সে লক্ষ্যে তাদের পছন্দের একজনকে কিছুদিন আগেই ক্যাবিনেটে নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা, সচিব, গুরুত্বপূর্ণপদ, সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা সব মিলিয়ে এদের মূল ইনসাইডার সংখ্যা ৯ জন। আর ভাইটাল আউটসাইড এক্টর আরও ৫ জন, এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন রয়েছেন।
সায়ের তার পোস্টে উল্লেখ করেন, উপযুক্ত সময়ে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। সাধারণ জনগন ও রাজনৈতিক দলগুলোর এদের বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।
Discussion about this post