ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের কৌশলী কি এবার বাজিমাত হবে বাংলাদেশ! সম্প্রতি তিনটি রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশের পরই ঢাকার রাজপথে নেমেছে সেনাবাহিনী। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে ঢাকার রাজপথ। কিন্তু হঠাৎ কেন সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা? কি কারনে এই নিরাপত্তার ঘেরাটোপ? উঠছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি ১৩ ই এপ্রিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করেছে তিনটি রুশ যুদ্ধজাহাজ। আর সেইদিন সকাল থেকেই ঢাকার রাজপথে সেনা তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। রাজপথে নেমেছে সেনাবাহিনীর নাইন ডিভিশনের সাজোয়া গাড়ি ট্যাংক এবং আর্ম ফোর্স। সূত্রের খবর ঢাকার সচিবালয় চত্বর জুড়ে আমফোর্সের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। পাশাপাশি সেনা প্রধানকে খবর পাঠানো হয়েছিল ইতিমধ্যেই তিনি যদি সক্রিয় ভূমিকা পালন না করেন তবে পাকিস্তান দখল নিতে পারে বাংলাদেশের। প্রধান ছিলেন রাশিয়া সফরে কিন্তু ইতিমধ্যেই তিনি দেশে ফিরেছেন এবং সক্রিয় ভূমিকায় অবতরণও হয়েছেন।
পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেল ভেঙে জঙ্গিদের মুক্ত করে দেওয়ার মতো ঘটনাও সামনে এসেছে। সেখানেও পৌঁছে যায় সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নেমে জঙ্গিদের ধরে বন্দী করার চেষ্টা চালায় সেনা আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য ৬ই এপ্রিল বাংলাদেশের সরকারি সফরে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন সে দেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জাবান। তবে একটা জল্পনা শুরু হয়েছিল যে সেই সময় ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল তিনি তার কোন পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছিলেন কিনা।
প্রসঙ্গত, তিনটি দেশ বাংলাদেশ পাকিস্তান ও চিন তাদেরকে একত্রে নানা রকম পরিকল্পনার সামিল হতে দেখা যায় আর এবার এই দলে ঢুকল আরও একটি দেশের নাম। জানা যাচ্ছে দেশটির নাম তুরস্ক, তুরস্কের সঙ্গে এবার বৈঠকে বসলো বাংলাদেশ।
সূত্র বলছে, একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে যেখানে উপস্থিত থাকছেন বাংলাদেশ, তুরস্ক ও পাকিস্তানের আইএসআই। কিন্তু কেনই বৈঠক? এই বৈঠক থেকে কি এমন কোন পরিকল্পনা উঠে আসতে চলেছে যেটি ভারতকে বিনাশের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করবে? ঠিক কোন কোন দিক থেকে লাভ হবে বাংলাদেশের?
উল্লেখ্য এর আগেই আমরা দেখেছি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ও চীন এই তিনটি দেশ তাদের মধ্যে বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করেছে। আর বর্তমানে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার জামান তিনি রয়েছেন রাশিয়া সফরে । অন্যদিকে বাংলাদেশের ডিজিএফআই ও একজন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সহ আরো দুই আধিকারিককে নিয়ে তারা স্পেনে পাড়ি দিলেন। এবার আরও একটি প্রশ্ন উঠছে বৈঠকের জন্য স্পেন কেন? বিশেষজ্ঞ মহল বলছে,পাকিস্তানের আইএসআই বাংলাদেশের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর বৈঠক হলে গোটা বিশ্বের নজর তাদের উপরেই দিয়ে পড়তো, তাই তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দেশকে নির্বাচিত করলো। তার ফলে গোটা বিশ্ব এই বৈঠকটিকে খুব সাধারন একটি ইন্টালিজেন্স কনফারেন্স ভাববে। কিন্তু এই কনফারেন্সে তিনটি দেশের পাশাপাশি এই তুরস্ক যোগদান করেছে।
অর্থাৎ, এখানেই ধরে নেওয়া হচ্ছে ভারতকে বাজিমাত করার চেষ্টায় বাংলাদেশ যখন বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন পরিকল্পনায় উদ্যত তখন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত তার রণকৌশল নিয়ে হাজির হবেন তা বলাই বাহুল্য। আর তার মাঝে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর তৎপরতাকে ভারতের উস্কানি বলেই মনে করছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল।
Discussion about this post