বাংলাদেশের সংবিধান বদলের ডাক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতৃত্বের।বিএনপি শিবিরে আতঙ্ক। অন্যদিকে, জামাত ও মৌলবাদীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ প্রকাশ্যে। আবার অপর দিকে হেফাজত,হিসবুত, জামাত যে সমস্ত জঙ্গি গোষ্ঠী আছে তারা একত্রিত হয়েছে একটি জঙ্গি সরকার গঠনের জন্য সম্প্রতি গোপন বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ছাত্র নেতারা । ওই ঘোষণাপত্রের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকতে চলেছে সংবিধান বদলের দাবি। এই দাবি তোলার আগে তার আভাস দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব।ওই ঘোষণাপত্রে উঠে আসতে পারে বাংলাদেশের সংবিধান বদলের দাবি। রবিবারই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ‘মুজিববাদী সংবিধানকে কবরস্থ’ করতে চান। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ঘোষণা করার দাবিও রাখা হতে পারে ঘোষণাপত্র।
তবে এই ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনও মন্তব্য স্পষ্ট মন্তব্য করতে চায়নি বিএনপি। হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ কোনঠাসা। এই অবস্থায় খালেদা জিয়ার বিএনপি পুনরায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশে। বর্তমান প্রেক্ষিতে বিএনপি সে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বললেও তা অত্যুক্তি হয় না।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইউনুসের সরকারের প্রেসসচিব জানিয়েছেন জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে ইউনুস সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি সম্প্রতি যে গোপন বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু এই বিষয়টি কি সত্যিই সঠিক?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও ভাবেই বাংলাদেশ সরকারের কাজ বা আচার আচরণ দেখে মনে হচ্ছেনা যে তারা এসবের সঙ্গে যুক্ত না। বরং মনে করা হচ্ছে তারা গোপন বৈঠকের মাধ্যমে বড় কিছু পরিকল্পনা করেছে।
উল্লেখ্য,যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই কর্মসূচি থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’র সঙ্গে ইউনূসের সরকারের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মঙ্গলবারের ওই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচিকে একটি বেসরকারি উদ্যোগ হিসাবে ব্যাখ্যা করছেন তিনি। ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি একটি বেসরকারি উদ্যোগ। সরকারের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। এটিকে যাঁরা সমর্থন করছেন, তাঁরা বেসরকারি উদ্যোগকে সমর্থন করছেন।”
ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার ঢাকার শহিদ মিনার চত্বরে এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব। আপাতত ইউনূসের সরকার এই বিষয়টি থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তবে প্রধান ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বর্তমানে ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসাবেই রয়েছেন।
Discussion about this post