ভারতের চাপে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যবস্থা। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনকালে বাংলাদেশের অর্থনীতির চেহারা দুর্ভিক্ষের আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করেছে। দেখা গিয়েছে ৩,৪৪৬.৬৬ কোটি টাকার পূণ্য বোঝাই ৪,৬৮৬টি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে যায়যার মধ্য ৭,৭৭২টি চালান রয়েছে, এমনটাই সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-পূর্ব ভারতের চারপাশে চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণের পক্ষে সম্মতি জানানোর কয়েকদিন পর, ৮ এপ্রিল নয়াদিল্লি বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের নির্দেশ দেয়।
৫ বছর আগে ২৯ জুন, ২০২০ তারিখে ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন এবং পরবর্তীতে ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেয় ভারত। কিন্তু সম্প্রতি মোহাম্মদ ইউনুসির নন রকম বিস্ফোরক মন্তব্য কে ঘিরে যখন উত্তপ্ত হয় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত তখনই ভারত এই ট্রানশিপমেন্ট বাতিলের নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করার আগে, পেট্রাপোল বন্দরে ট্রাক এবং চালান চলাচলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছিল।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দেশের ব্যস্ততম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৩,৩৭৩টি ট্রাক ট্রান্সশিপমেন্ট কার্গো নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে ২,৩৫৭.২৭ কোটি টাকার ৪,৭৩৩টি চালান ছিল। ২০২৪-২৫ সালে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ৪,৬৮৬টি ট্রাক – যা ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে – এবং ৭,৭৭২টি চালান ছিল ৩,৪৪৬.৬৬ কোটি টাকার।
জানা যাচ্ছে, এই নতুন বিজ্ঞপ্তির কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ রয়েছে, যদিও নিয়মিত বাণিজ্য এবং যাত্রী চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ট্রাক অপারেটর এবং শ্রমিক সহ স্টেকহোল্ডাররা এখন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা।
Discussion about this post