সদ্য চীন সফর করেছেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু সেখানে গিয়ে বাংলাদেশের একটি আস্ত বন্দর বিক্রি করে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর আগে দেখা গিয়েছে চীন, বিভিন্ন দেশের বন্দর
কায়দা করে হাত করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, পাশে চীনের বসতি করে চীনের সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একই রকম করতে চলেছে চীন। বাংলাদেশের এই দুঃসময়ে ঋণের ফাঁদে জর্জরিত করে তাদের থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মংলা বন্দরকে হাত করতে চাইছে সি জিন পিং- এর দেশ। কাজেই মোহাম্মদ ইউনূস যে মহা বিপদে ফেলতে চলেছেন গোটা বাংলাদেশকে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি চীন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। তিনি চীনে গিয়ে সেখানকার রাষ্ট্রপ্রধান সি জিং পিং এর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। পাশাপাশি তিনি কয়েকটি শিল্পপতিদের সঙ্গেও কথা বলেন। মহম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেন, ভারতের সেভেন সিস্টার্স স্থল বিশিষ্ট। কাজেই তাদের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর নির্ভর করতে হয়। এক্ষেত্রে ভারতের বাণিজ্যিকের জন্য বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হতে পারে। অর্থাৎ এটি চীনা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ হতে পারে। বারে বারে চিকেন নেক কে টেনে মন্তব্য করছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি মনে করেছিলেন চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন। কিন্তু চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের বক্তব্য স্পষ্ট হয়ে গেল, তারা ভারতকেও চটাতে চায় না। সেই কারণেই এই ধরনের একটি সরকারি বিবৃতি দিয়ে বিষয়টা পরিষ্কার করে দেওয়া হল।
অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, মোহাম্মদ ইউনূসের আগেই বোঝা উচিত ছিল, তিনি বাংলাদেশের একটি অস্থায়ী সরকারের প্রধান। অর্থাৎ কোন রাষ্ট্রপ্রধানই চাইবে না, একটি দেশের অস্থায়ী সরকারের সঙ্গে কোন রকম প্রকল্প বা বিল পাস করাতে। তাও আবার চীনের মত একটি চতুর দেশ। কাজেই ইউনূসের স্বপ্ন যে এবারেও বাস্তবায়িত হল না, সেটা পরিষ্কার। উল্টে তিনি নাকি শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের মংলা বন্দরটিকে বিক্রির জন্য চুক্তি করেছেন। এখন দেখার, এর পরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়! পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ শেষ পর্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে কি করেন, সেটাও দেখার।
Discussion about this post