বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ লাগতে পারে। কয়েক মাস আগে থেকে আশঙ্কা করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এইবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। সেনাপ্রধানকে কিভাবে সাধারণ জনগণের কাছে অপদস্থ করা যায়, তার পরিকল্পনা চলছে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ছকও কষা হয়েছিল। সেনাপ্রধানের সঙ্গে গোপনে কি কি কথা হয়েছে, সেগুলিকে হু হু সাধারণ মানুষের কাছে উত্থাপন করছে। এবার যদি সেনা প্রধান নিজের অ্যাকশন শুরু করেন, তবে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ কেউ আটকাতে পারবে না। বলছেন ওয়াকিবহুল মহল।
এনসিপি বা জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। এখন বাংলা দেশের রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র চলছে। এটা করছে ভারত। শিরিন শারমিন, সাবের হোসেন চৌধুরী… এদের সামনে রেখে চলছে চক্রান্ত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি সহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়- ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আসুন, সকল যদি কিন্তু পাশে রেখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমাদের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা হতে দিবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোন সুযোগ নাই বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে’।
অর্থাৎ তার ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন, আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। কিন্তু সেটা কোনওভাবেই হতে দেবে না হাসনাত রা। এমনকি আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ না হলে জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তারা। শুধু তাই নয়, সেনানিবাস থেকে তাদের উপর বহু রকম চাপ এসেছিল জুলাই আন্দোলনের সময়। কিন্তু তাতে নতি স্বীকার করেনি হাসনাত, সার্জিসরা।
এছাড়াও, সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। সেটাও ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না অন্যান্য উপদেষ্টা মন্ডলের তরফে। কাজেই আপাত দৃষ্টিতে বাংলাদেশ তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। সেনাপ্রধান বা সেনাবাহিনী, প্রধান উপদেষ্টা এবং এনসিপির সদস্য ও অন্যান্য উপদেষ্টা মন্ডলী। এর মধ্যে ভয়ংকর সেনাপ্রধানের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই চলা। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান চাইলেই গোটা দেশের ভার নিজের বাঁধিয়ে নিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তবে তাকে আক্রমণ করা হলে চুপ করে থাকবেন না। তখন যদি সেনাবাহিনী একশন শুরু করে, তবে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ অবধারিত।
Discussion about this post