বাংলাদেশে নির্বাচন কবে হবে? সেই নিয়ে এখন নানা জল্পনা কল্পনা। হলেও কি এই বছরে, নাকি পরের বছর? নাকি ক্ষমতার অলিন্দে থেকে যাবেন মহম্মদ ইউনূস?
বেশ কয়েক মাস আগে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেছিলেন, ২০২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করিয়ে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু সেনাপ্রধান চাওয়ার পর কেন নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি করা হচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন। কিছুদিন আগে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা চাইছে পুরোপুরি ভাবে সংস্কার করে নির্বাচন করা হবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারি করা সমস্ত কিছু বাতিল করে, নতুনভাবে সংস্কার করে একটি স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য নির্বাচন করা হবে। কিন্তু সেটা হলে অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ। কাজে বোঝাই যাচ্ছে, তাদের দল বাংলাদেশের জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠতে যতদিন সময় লাগবে ততদিন নির্বাচন যেনতেন প্রকারে আটকে রাখবে তারা।
এদিকে বাংলাদেশে সবথেকে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল বিএনপি বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকে চাপ দিচ্ছে নির্বাচনের জন্য। কারণ এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে, তাদের জেতার সম্ভাবনা প্রবল। এই সময় তেমনভাবে সক্রিয় নয় আওয়ামী লীগ। এমনকি বিপুল সংখ্যক মানুষের সমর্থনে এই সরকারের পতন হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগের জেতার তেমন কোনও সম্ভবনা নেই। ফলে বিএনপির বহু নেতৃত্ব একাধিক মঞ্চ থেকে কার্যত তদারকি সরকারকে একহাত নিচ্ছে।
তবে প্রশ্ন উঠে আসছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বলার পরও কেন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হল না? এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি যেভাবে নেতিবাচক রূপ ধারণ করছে, এর দায় কে নেবে? যদিও প্রবল চাপে পড়ে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সম্ভাব্য দুটি সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর কেটে গিয়েছে কয়েকটি মাস। এখন আর তিনি সেভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন না। তবে কি রাজনীতির ময়দানে ছাত্রনেতাদের আরও সক্রিয় করে তুলতে চান তিনি? যাতে নির্বাচন হলে ইউনূসকেই প্রার্থী করে? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।
Discussion about this post