বিশ্বের দরবারে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত টানাপোড়েন প্রকাশ্যে এসেছে। চীনের সামনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস ভারতের সেভেন সিস্টার্স কে উপেক্ষা করার পর, ভারত অ্যাকশন নিতে শুরু করেছে। ট্রান্সসিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে বাংলাদেশকে আর্থিক দিক থেকে আরও বিপর্যস্ত করেছে ভারত। এবার দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যুদ্ধের আবহে ভারত থেকে বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো বাংলাদেশ।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। এর প্রভাব পড়ছে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে।
এরই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। ২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাংলাদেশকে দিয়েছিল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতীয় বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে সহজেই পণ্য পাঠাতে পারতো। এখন এই সুবিধা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তবে নেপাল-ভুটানে স্থলপথে ট্রানজিট নিয়ে পণ্য পাঠানোয় এই নির্দেশের প্রভাব পড়বে না।
আর ভারতের এই বাণিজ্যিক চাপের পর যখন পরিস্থিতির সামাল দিতে ব্যর্থ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তখন তিনি ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন। যে পণ্যগুলোর উপর বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেগুলি হল- ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়ো দুধ, টোব্যাকো, রেডিও ও টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্স।
গত ১৩ এপ্রিল এই নির্দেশনা জারি করে, এনবিআরের কাস্টমস উইং ১৫ এপ্রিল এ তথ্য জানায় কারণ, দুই দেশের সম্পর্ক এখন বাণিজ্যিক যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে ভারত যেমন তাদের পদক্ষেপ নিয়েছে তেমনি বাংলাদেশ পাল্টা পদক্ষেপ নিতে এই পণ্য আমদানি নিষেধের সিদ্ধান্ত নিলো।
Discussion about this post