বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়। এই বৈঠকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ বাংলাদেশ থেকে ভারতের তরফে যেভাবে একের পর এক হুমকি এসেছিল, এবং ভারত বিদ্বেষ তৈরি হয়েছিল, তাতে ভারত এই বৈঠকটি করতেই চায়নি। বহু টালবাহানার পর ইউনূসের মুখোমুখি হন নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা প্রসঙ্গ উঠতেই ইউনূসকে থামিয়ে দেন মোদী। সে যাই হোক, শীর্ষ পর্যায়ে দুই দেশের বৈঠকের পর এইবার ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের সমীকরণটি ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সেই বিষয়টি নিয়েই জল্পনা ছড়িয়েছে।
তাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের। সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী ইউনূসকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে ইউনূস কি আবদার করলেন মোদির কাছে? শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন ইউনূস? তাতে কি উত্তর দিলেন নরেন্দ্র মোদি? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।
প্রথমদিকে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে দুই দেশের বৈঠক নিয়ে সদুত্তর দেয়নি নয়া দিল্লি। এমনকি এর আগে বহুবার আবেদন করা হয়েছে সাক্ষাৎকারের জন্য। কিন্তু কোনভাবেই ভারত এই সাক্ষাৎকার চাইনি। অবশেষে সেই বৈঠক হয়ে গেল। শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘুদের উপর যাতে অত্যাচারের ঘটনা না ঘটে, তারই কড়া বার্তা দেন মোদি।
অন্যদিকে খবর উঠে আসছে, শেখ হাসিনা প্রসঙ্গ উঠেছিল বৈঠকে। সেখানে নাকি মোহাম্মদ ইউনুস হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে মোদি তেমন কোনও উত্তর দেননি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক লেখেন, হাসিনার প্রত্যপন প্রসঙ্গ উঠলে তাতে নেতিবাচক ছিলেন না মোদী। কিন্তু এটা আদতে ভুয়ো খবর। বলছে ভারতীয় বহু গণমাধ্যম।
শফিকুল আলমের পোস্টের পর রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। বৈঠকের ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই এই ঘটনায় মনে করা হচ্ছ, দুই দেশের সম্পর্কে আঁচ পড়বে। সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদী এক্স এ লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দুই দেশের একটি গঠনমূলক ও জনগণ কেন্দ্রিক সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, আমি বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, এবং সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। যাতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা না ঘটে, তারই নিশ্চিত করেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এখন দেখার, প্রেস সচিবের এই ধরনের মন্তব্যের পর দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কি ভাবে নয়া দিল্লি!
Discussion about this post