ইউনুসের সরকার বিএনপি শিবিরে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে? বাংলাদেশ জুড়ে শুধু একটাই প্রশ্ন মাথা চারা দিচ্ছে, তবে কি ফের গৃহযুদ্ধ বাংলাদেশে? নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই কাঠগড়ায় ইউনুস সরকার। বিএনপি এর তরফেও প্রশ্ন উঠেছে অন্তরবর্তী সরকারের নির্বাচনে অনীহা নিয়ে।
চলতি বছর জুলাই এবং অগস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ পথে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। আর সেই সময় হাসিনা বিরোধী সেই ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি। এরপর বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এবং জানানো হয়েছিল অন্তরবর্তী সরকারের অধীনে দ্রুত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন এবং বাংলাদেশে সংস্কার প্রতিষ্ঠা করবে ইউনুস সরকার। তবে সংস্কারের নামে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করতে দেখা গিয়েছে ইউনুসকে। এই আবহে এবার ফের পথে নামার ডাক দিল বিএনপি।
সম্প্রতি,বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ে একটি সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশবাসীরা কি সত্যি পরিবর্তন চান নাকি আবার ওই আওয়ামি লিগের নৌকায় ফিরে যেতে চান? যদি পরিবর্তন চান তাহলে ৫ অগস্ট আপনারা যেমন রাস্তায় নেমেছিলেন, আবারও সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। লড়াই করতে হবে।নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন ভোটের অধিকার, অন্নের অধিকার আদায়ের জন্য এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য রাস্তায় নেমে লড়াই হবে।’
বিএনপি নেতৃত্ব আরও বলেন, দেশে এখন অনেক কিছু শুরু হয়েছে। কিছু কিছু মানুষ এখন বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। বিভিন্ন রকম কথা বলা বন্ধ করুন। বিশেষ করে দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে ভুল কথা বা উত্তেজনামূলক কথা বলে দেশের মানুষকে আর বিভ্রান্ত করবেন না। আমরা শান্তিতে একটা নির্বাচন করতে চাই। যে ভোটের মাধ্যমে আমরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চাই। তারা সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে, চুরি বন্ধ করবে, দুর্নীতি বন্ধ করবে, ঘুষ-গুন্ডাগিরি বন্ধ করবে, দখলদারি বন্ধ করবে।’
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে যে ধারণা পাওয়া গেছে তা হলো – নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণার প্রতি সরকারের ‘অনাগ্রহ’ এবং পাশাপাশি সরকারের মধ্য থেকে সময়সীমা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য আসায় দলের মধ্যে ‘নির্বাচন বিলম্বিত করা হতে পারে’ বলে এক ধরণের সংশয় তৈরি হয়েছে।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, মানুষ কখন ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচিত সরকার ও সংসদ গঠন করতে পারবে – সেটি সরকার স্পষ্ট করেনি বলেই জনমনে এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে।
Discussion about this post