আমেরিকার ঘোষিত মুক্তি দিবসের বেশ কিছুদিন আগে থেকে গোটা বিশ্ব জুড়ে জল্পনা চলছিল যে ঠিক কত শতাংশ বাড়ি শুল্ক চাপতে চলেছে তাদের পণ্যের উপর। দেখা গেল, ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বিভিন্ন দেশের উপর আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়া মার্কিন শুল্কে দেখা যাচ্ছে, ভারতের পণ্যের উপর ২৭ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে ট্রাম্প। বাংলাদেশের আমদানীকৃত পণ্যের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা।এরপরই কাঁপতে শুরু করে বিশ্ব অর্থনীতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এমন অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মনে করছে অর্থনীতিবিদরা। বরং বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থায় ইতি টানতে চলেছে এই বাড়তি শুল্ক। একই সঙ্গে গোটা বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে, মত অর্থনৈতিকবিদ দের। তবে সবাই যে মার্কিন বশ্যতা স্বীকার করছে তা কিন্তু নয়। অনেকে পাল্টা শুল্কের মাধ্যমে জবাবও দিতে শুরু করেছে। চীনের পাল্টা শুল্ক, চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্প। তার বদলে মার্কিন পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক ছাপিয়েছে চীন। সেটিও ৩৪ শতাংশ। পাশাপাশি ১১ টি মার্কিন কোম্পানির বাণিজ্য চীনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। অবশ্যই এরপর থেকে চীনের মতো প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে চীনের দেখানো পথে হাঁটে তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও বড় ধস নামতে পারে।
এরই মাঝে ভারতের আশার খবর, ইসরায়েল, ভিয়েতনাম ছাড়াও ভারতের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভিয়েতনামের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেও ভারত বা ইসরাইলের কথা মুখে কিছু জানাননি ট্রাম্প। বোঝাই যাচ্ছে, বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র হতে পারে। আবার কোথাও আঁচই হয়তো লাগবে না। কোথাও আবার আঁচ পড়লে সেটা সামান্য।
অন্যদিকে, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের উপর শুল্ক চাপানো নিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তলানিতে এসে থেকেছে। আরও সংকট বেড়েছে ভারতের সঙ্গে বিরোধিতা করে। কারণ ভারত এবং বাংলাদেশের উভয়েরই বাণিজ্যিক একটা বড় ক্ষেত্র নির্ভর করে একে অপরের ওপর। কিন্তু মোহাম্মদ ইউনূসের জমানায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাতে সীমান্তবর্তী এলাকা কড়াকড়ি করতে হয়েছে ভারতকে। আর এতেই বড় সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার সিংহাসনে পাকাপাকিভাবে বসার পরে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে ধাক্কা খেয়েছে পদ্মাপাড়ের দেশ। এমনকি ইউনূস প্রবলভাবে চেষ্টা করেছিলেন, বাংলাদেশে আসুক বৈদেশিক মুদ্রা। সেই কারণে বহু জায়গায় দরবার করেছেন তিনি। আসলে অনেক রাজনৈতিকবিদ বলছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসতেই বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করছেন। শুধু তাই নয়, এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যা মার্কিন ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। কিছুদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে গভর্নরদের এক ওয়ার্কিং সেশনে বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের রাজনীতি শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে এমন এক সংস্থা ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, যে সংস্থার নাম আগে কেউ শোনেনি, এমনকি সেই সংস্থায় মাত্র দুজন কাজ করেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এমন অভিযোগে সমস্যায় পরবে না তো বাংলাদেশের সরকার?
Discussion about this post