সামনেই বিয়ে ? বিয়ের আগে সবাই চায় ওজন কমাতে। সেটা যদি ৬-৭ কেজি কমে তাহলে তো খুবই ভালো। এই ওজন কমানোর জন্য আমরা কত কিনা করি, সকালে উঠে উষ্ণ গরম জলে পাতি লেবুর রস খাওয়া থেকে শুরু করে দুপুরে হালকা লাঞ্চ, রাতে একদম মেপে খাবার খাওয়া। তাছাড়া আমরা স্লিম ও সুন্দর হওয়ার জন্য গ্রিনটি খেয়ে থাকি। তবে এইভাবে চললে আমাদের ওজন কিছুটা হলেও কমে । কিন্তু আপনি যদি ভাবেন ১ মাসের মধ্যে ৬-৭ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলবেন তাহলে এইসমস্ত ডায়েটে সেটা সম্ভব নয়। যদিও বা কিছুটা সম্ভব হয় তাতে অনেক ঝুঁকি থাকে। যেমন শারীরিক বিভিন্ন দুর্বলতা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই ১ মাসের মধ্যে স্লিম হতে চাইলে কয়েকটি উপায় মানা দরকার। যেমন নিয়মিত কড়া শরীরচর্চা থেকে শুরু করে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করা দরকার।বিয়ের আগে অনেকে চটজলদি রোগা হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু ঘরোয়া পন্থা অবলম্বন করেন। তাতে কিন্তু হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি।
এইসব কড়া ঘরোয়া ডায়েটের ফলে আমাদের বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে গিয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার এই সময় অনেকে কম খায়। অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য। কিন্তু এই খাবার গুলি আমাদের শরীরকে ক্লান্তি পূর্ন করে তোলে। ক্যালোরি আমাদের শক্তি যোগায়। ফলে স্বভাবতই কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার আমাদের শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। ঘুম ঘুম ভাব, ঝিমুনি ইত্যাদি আসে।
বিয়ের সময় প্রত্যেকেই জেল্লাদার ত্বক চান। এই ক্র্যাশ ডায়েট গুলো আমাদের শরীরের ওজন যতটা না কমাতে সাহায্য করে তার থেকে বেশি আমাদের শরীরের স্বাভাবিক জেল্লাকে কমিয়ে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে।
এই প্রকার ডায়েটের ফলে আমাদের শরীর এতটাই শুষ্ক হয়ে যায় যে শরীরের স্বাভাবিক জল কমে যায়। ফলে দেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া চালানোর জন্য অতিরিক্ত জলকে দেহ শোষণ করে নেন। ফলে আমরা দ্রুত ডিহাইড্রেশনর মত সমস্যায় ভুগি।
ক্র্যাশ ডায়েট গুলি শরীরের হরমোনের ভারসাম্যকে বিনষ্ট করে। ফলে মানসিক চাপ, এক ঘেয়েমি, নিঃসঙ্গতা, হতাশা সৃষ্টি হয়।
তাই বিয়ের ১ মাস বাকি থাকলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। সেই মতোই ডায়েট মেনে চললে ১ মাসেই ৬-৭ কেজি ওজন কমানো সম্ভব হবে সাথে এই সমস্ত শারীরিক ঝুঁকিও থাকবেনা।
Discussion about this post