পিতৃপক্ষের অবসান এবং মাতৃ পক্ষের সূচনা। এই কথাটা এককথায় বললে মহালয়া। আর এই দিনেই মায়ের মূর্তিতে চক্ষুদান করা হয়। ঠিক এমনই এক ঘটনা উত্তর 24 পরগনা বসিরহাট মহকুমার এক নম্বর ব্লক সহ বিভিন্ন এলাকার দৃষ্টিহীন মানুষদের। পুজোর আগে দৃষ্টি ফিরে পেলেন। তবে এ কোন অলৌকিক ঘটনা নয়।
ঠিক যেভাবে শিল্পী মূর্তিতে রঙের তুলির মাধ্যমে মায়ের চোখ আঁকেন, ঠিক সেই ভাবেই দক্ষিণ বসিরহাটের বিধায়ক চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, তার চিকিৎসা অনুশীলনের মাধ্যমে এলাকার দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিলেন। দীর্ঘদিন চক্ষু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিজের হাতে অপারেশনের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিলেন কত মানুষের দৃষ্টি।
কত পূজা দেখা হয়নি, বিভিন্ন ঘটনায় হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি, অনেকে আবার ঝাপসা দৃষ্টিতেই দেখে চলেছে নিজের জীবন কাহিনী। তবে এবার আর নয়। চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা এখন নিজের চোখে দেখবে গোটা সমাজ। পূজা মন্ডপে গিয়ে দর্শন করবে মায়ের মুখ। আর এই দৃষ্টি ফিরে পেয়ে অনেকটাই খুশি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া রোগীদের।
এই বিষয় বিধায়ক তথা চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি দীর্ঘদিন ধরে চক্ষু চিকিৎসার সাথে যুক্ত। এবং মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন চোখের আলোর প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে যারা খেটে খাওয়া অসহায় দুঃস্থ সাধারণ দরিদ্র মানুষ তাদের অর্থ দিয়ে চোখের অপারেশন করাতে হবে।
মায়ের আগমনের সাথে দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া যেন এক কাল্পনিক উপহার দিলেন চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণের মুখে এই কথা, “ওনার দীর্ঘ আয়ু কামনা করি” এটা যেনো শুধু কথা নয়। এটা শত মানুষের দৈবীক আশীর্বাদ।
Discussion about this post