আমেরিকা সফরে এস জয়শঙ্কর। ছয় দিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। বৈঠক করেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ও সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লি ঙ্কেনের সঙ্গে। তবে কি কারণে হঠাৎ তিনি আমেরিকায় গেলেন, এই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল তৈরি হয়েছে। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার সিংহাসনে বসার পর এই প্রথমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সফর। যার জেরে বিদেশমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন বলে খবর রয়েছে আন্তর্জাতিক সূত্রে। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এস জয়শঙ্কর নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, হাউস্টন, আটলান্টার ভারতীয় কনসাল জেনারেলদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। এমনকি জয়শঙ্কর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, জ্যাক সুলিভনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। ভারত-আমেরিকার মধ্যে খুব ভালো একটি সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে। এমনকি, বিশ্বের দরবারে দুই দেশের উত্থাপন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় আরও একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপিত হয়েছে, তা হল, দুই দেশের পারস্পরিক রক্ষা। যা নিয়ে দুই দেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাদের আলোচনা খুব ভালো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এখন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একদিকে বাংলাদেশের ভঙ্গুর পরিস্থিতি। যা কার্যত তার প্রতিবেশী দেশগুলিকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তানও বড়সড় বিপাকে পড়েছে। পাকিস্তানের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে তালিবানি সৈন্য। সেই সংখ্যাটা প্রায় ১৫ হাজার মতো। তবে ঘটনার সূত্রপাত করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। তারা হঠাৎ করেই তালিবানদের উপর একটি এয়ারস্ট্রাইক করে বসে। আর এর ঠিক দু দিন আগে আফগানিস্তানে বোমা বর্ষণ করে। তালবানের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ৪৬ জন মহিলা এবং শিশুদের উপর এই বোমা বর্ষণ করেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে গুটি সাজাচ্ছে তা মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও চুপ করে বসে নেই ভারতকও। কার্যত নিজেদের মতো করে তৈরি হচ্ছে ভারত। বিশ্বের দরবারে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতে সদভাব রয়েছে তা জানে প্রত্যেকে। চীনও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের থেকে। সেক্ষেত্রে এখন, চাপ বাড়ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের। তবে এই বৈঠকের পুর অনেক প্রশ্নই মাথাচারা দিচ্ছে। তা হল, বাংলাদেশ-পাকিস্তান নিয়ে কি বড়সড় কোনও পদক্ষেপ হতে চলেছে? নাকি চীনকে নিয়ে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়? সেই বিষয় নিয়ে কার্যত আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অর্থাৎ, ইউনূস নিয়ে কি বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারত-আমেরিকা? তা অবশ্য উত্তর দেবে সময়।
Discussion about this post