হাসনাত আব্দুল্লাহ রাজপথে নেমে তার দাবি অর্থাৎ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরন আদায়ের পর, হাসনাত না ওয়াকার? এই দুজনের একসঙ্গে পথ চলা সম্ভব হয়ে পড়ে। হাসনাত আব্দুল্লাহ অর্থাৎ ছাত্রনেতাদের একটি শঙ্কার জায়গা আওয়ামী লীগ! তারা মনে করে যে কোন মুহূর্তে আমি ঠিক ঢুকে যেতে পারে দেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারে জোর করে। ছাত্র নেতাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে সচেষ্ট আওয়ামী লীগ আর দলটিকে জায়গা করে দিতে উদ্যত দেশের সেনাপ্রধান।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান যে আওয়ামী লীগ পন্থী সেটা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে সরকারের অন্দরে।
গত বছর ৫ আগস্ট, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে পালাবদলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর সেখানে গঠিত হয় মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মাঝে এতগুলো মাস কেটে যাওয়ার পরেও সে দেশে এখনো নির্বাচন সম্পন্ন হয়নি। সে দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ী সরকার স্থাপনের বিষয় প্রতিনিয়ত বিলম্ব করে চলেছে । গোটা বিশ্বের তরফে নির্বাচন নিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হলেও সে চাপ প্রতিহত করে চলেছে ডঃ মোঃ ইউনুস। তবে এখন নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে অন্তর্ভুক্তির সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনুস বাংলাদেশের রাজনীতির অন্দরে শুরু করেছে সে দেশের সেনা প্রধানকে ক্ষমতাচ্যুত করার নতুন ষড়যন্ত্র। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিতে নানা রকম পন্থা অবলম্বন করছেন ইউনূস। কারন হিসাবে বলা হচ্ছে প্রথমত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উচ্চমান আওয়ামী লীগ পন্থী। আবার শেখ হাসিনার আমলেই তাকে সেনাপ্রধান পদে আসিন করা হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে তিনি শেখ হাসিনার বোনের স্বামী অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ আত্মীয় । যদিও মোহাম্মদ ইউনুসের শাসনামলে জেনারেল ওয়াকার এমন কোনও কাজ করেননি যাতে ইউনুস সরকার বিপন্ন হতে পারে। তবুও তাকে ঘিরে জল্পনা যেন ধীরে ধী রে দৃঢ় হতে শুরু করেছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে মুহাম্মদ ইউনূস যে আসলে চাইছে আরও দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে সেটা একেবারেই স্পষ্ট। আর এবার প্রধান উপদেষ্টা নিশানায় সে দেশের সেনাপ্রধান। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানকে অপসারণ করাই মোহাম্মদ ইউনুসের পরবর্তী পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান করার জন্য এখনো বিভিন্ন কার্যকলাপ অব্যাহত।
উল্লেখ্য অবশেষে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করার ঘটনা এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আরও দু মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
এবার শুধু সেনাবাহিনীর ভেতর একটা অভ্যুত্থান বা ক্যু করে ক্ষমতার হস্তান্তর করানোই এখন বাকি সে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এমনটা মনে করা হচ্ছে যদি ওয়াকার উজ জামানাকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে কামরুল হাসান হবেন বাংলাদেশের পরবর্তী সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার এখনো সচেষ্ট বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন করানোর বিষয়ে। যেটা কোনভাবেই চাইছেন না মুহাম্মদ ইউনুস। সেনাবাহিনী তথা জেনারেল ওয়াকারকে বিশেষ বার্তা দিতেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পাশাপাশি বার্তা দেওয়া হয়েছে হাসনাত আব্দুল্লাহর মতো ছাত্রনেতাদের আন্দোলনে যদি বাংলাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যায় তাহলে সেনাবাহিনীর ভিতরেও একটা অভ্যুত্থান ঘটানো সম্ভব। অর্থাৎ হাসনাত আব্দুল্লাহ সরকারের সহায়তায় শক্তির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই ছাত্র নেতাদের পেছনে সরকারের হাত থাকার পদে ঢাকার রাজপথে ওঠা হাসনাত না ওয়াকার? এই শ্লোগানের উত্তর হয়তো সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব নয়।
Discussion about this post