বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ জনগণের এখন একমাত্র ভরসা বা আস্থা রয়েছে দেশের সেনাবাহিনীর উপর। সেনাপ্রধান কি পারবেন দেশের সমস্ত প্রতিকূলতা কে দূরে সরিয়ে দেশকে একটি শান্তি ও স্থিতিশীলতার দেশে রূপান্তরিত করতে? যদিও প্রত্যাশা রয়েছে সাধারণ নাগরিকের। কিন্তু এই প্রত্যাশা ও পূরণের মধ্যে শেষমেষ তফাৎ থেকে যাবে কিনা সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। বাংলাদেশে যখন একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে তখন বারে বারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে সেনাবাহিনী। সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবিক প্রদানের প্রসঙ্গেও উঠে এসেছে সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশ্ন। আবার ধীরে ধীরে যখন দেশজুড়ে মব কালচার সরিয়ে পড়ছে তখন, এই মত কালচার নিয়ে সেনাপ্রধানের ঐতিহাসিক বার্তার কথা ও স্মরণে আসছে। তিনি সেই সময় বলেছিলেন দেশজুড়ে মব কালচার বরদাস্ত হবেনা, এর ফটো দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ক্ষুন্ন হতে পারে। সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই ধরনের ইঙ্গিত পূর্ন বার্তা দিতে আর কাউকেই দেখা যায় না।
উল্লেখ্য,এখন গোটা দেশের কাছে শেষ ভরসার নাম হয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু এই সেনাবাহিনীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র কমেনি সংঘর্ষ কমেনি। বাংলাদেশে বর্তমানে ঘটনার ঘনঘটা। মব কালচারের মতো ঘটনা দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের বুকে। সেখানে পুলিশ কেও প্রথমবারের মতো এই মব কালচার ঠেকাতে তৎপরতা শুরু করতে দেখা গিয়েছে।
আর সেনাবাহিনীর এই কর্মকাণ্ডের পর, এখন সকল সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন সেনাপ্রধান দেশের এই অস্থির পরিস্থিতিতে কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে? তিনি কি আলোচনার মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করার কোন নতুন সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন?
পাশাপাশি মানব প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান তার সিদ্ধান্তে অনর থাকে নাকি সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় এসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রদান করেন এই ধরনের বিভিন্ন আলোচনা চলছে বাংলাদেশের অন্তরেই।
কিন্তু দেশের জনগণের একাংশের তরফে যেমন সেনাবাহিনীর প্রতি প্রত্যাশা রয়েছে আস্থা ভরসা রয়েছে তেমনি দেশের অন্তরে চলছে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আর এই ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে যেন প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। কিন্তু সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের পিছনে যে কারণগুলি বা উদ্দেশ্য গুলি রয়েছে সেগুলো যদি সেনাবাহিনীর তরফে তদন্ত করে প্রকাশ্যে আনা সম্ভব হয় তবে এই ষড়যন্ত্রগুলিকে প্রতিহত করতেও সক্ষম হবে সেদেশের সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে,
একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, আচমকাই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে ডেকেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ইউনুসদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকার পাশাপাশি তিনি ভবিষ্যতের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে চান বলে দাবি বিভিন্ন মহলের।
সূত্রের খবর, মূলত, ভবিষ্যতে দেশে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে এই বৈঠক ডেকেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তিনি চান, যত দ্রুত সম্ভব যেন নির্বাচনের ঘোষণা করে দেয় ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার। তবে সেটা বাদ দিয়ে ইউনুসের আমলে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে সেনাপ্রধান সবথেকে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশি সেনার সূত্রে যে দাবি করা যে ইউনুসকে বিভিন্ন বিদেশি এজেন্সির পুতুল হিসেবে দেখা হচ্ছে। যেভাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ দেখা যাচ্ছে, সেটা তো উদ্বেগের বিষয়ই। সেইসঙ্গে নির্দেশিকা জারি করে যে জেল থেকে বন্দীদের ছেড়ে দেওয়ার পথে হেঁটেছে ইউনুস সরকার, তা নিয়েও বাংলাদেশি সেনাপ্রধান যথেষ্ট বিরক্ত বলে দাবি করা হচ্ছে।
আর এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই পরোক্ষভাবে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান।
Discussion about this post